ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ও তাঁর ভাই বসন্তের বিরুদ্ধে দুমকার মুরা পাহাড়ে দলীয় অফিসে হামলার অভিযোগ করল বিজেপি। পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের কাছেও নালিশ জানানো হয়েছে। তবে এ নিয়ে পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছে জেএমএম নেতৃত্ব।
দুমকায় ভোটে লড়ছেন হেমন্ত। সেখানকার বিজেপি প্রার্থী লুইস মরান্ডির নির্বাচনী এজেন্ট সাবর্ন মনোজ মৃণাল অভিযোগ করেছেন, গত রাতে জেএমএম কর্মীরা ভোটারদের মধ্যে টাকা বিলি করছিল। ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন হেমন্ত ও তাঁর ভাই। বিজেপি কর্মীরা তার প্রতিবাদ করলে দু’পক্ষে মারপিট শুরু হয়। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর দেহরক্ষীরা বিজেপি সমর্থকদের মারধর করেন। এর পরই মুফ্ফসিল থানায় হেমন্তদের বিরুদ্ধে মারধর, ভয় দেখানোর অভিযোগ করে বিজেপি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পি কে জাজোরিয়াকেও সব কথা জানানো হয়। হেমন্তের বিরুদ্ধে ভোটে জিততে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও তোলা হয়েছে।
এ সব মানতে চাননি হেমন্ত। তিনি বলেন, “বিজেপির লোকজনই আমাদের কর্মীদের উপর চড়াও হয়।” এ দিকে, লোকসভা ভোটের ভুল বিধানসভা নির্বাচনে ভুলতে তৎপর দুমকা প্রশাসন। জেলার স্পর্শকাতর ভোট কেন্দ্রগুলিতে মোতায়েন হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঝাড়খণ্ডে লোকসভা নির্বাচনে শেষ দফার ভোট মিটেছিল শান্তিতে। কিন্তু দুমকার শিকারিপাড়ার জঙ্গল এলাকায় একটি বুথ থেকে ফেরার সময় জঙ্গিদের ল্যান্ডমাইনে উড়ে যায় ভোটকর্মী, পুলিশ বোঝাই বাস। মৃত্যু হয় ৯ জনের।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পি কে জাজোরিয়া জানান, আগের বারের ঘটনার জেরে এ বার বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। জঙ্গি অধ্যুষিত এলাকায় ৩টের মধ্যে ভোট শেষ করতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকটি বুথে মজুত থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দুমকার ডেপুটি কমিশনার হর্ষ মঙ্গলা জানান, আগামী কাল সাঁওতাল পরগনার ১৬টি কেন্দ্র-সহ নির্বাচন। তার মধ্যে দুমকা, পাকুড়, লিট্টিপাড়া, শিকারিপাড়ার মতো মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার ৯৬টি ভোট কেন্দ্র অতিরিক্ত স্পশর্কাতর।