ফের পুলিশের ঘেরাটোপে শর্মিলা চানু। শুক্রবার ইম্ফলে।—নিজস্ব চিত্র।
১৪ বছর পর মুক্তির মেয়াদ সাকুল্যে ৪০ ঘণ্টা!
আজ সকালে ফের ইরম শর্মিলা চানুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মণিপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাইখংবাম বলেন, “আমরা চানুকে কারাগারে রাখতে চাই না। তাঁর লড়াই রাজ্যবাসীর কাছে প্রেরণা। তাঁকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, আদালতের নির্দেশ মেনেই রাজ্য সরকার এ পদক্ষেপ করেছে। কারণ, চানুর স্বাস্থ্যরক্ষার দায়িত্ব আদালত সরকারের হাতেই দিয়েছে।
চানুকে মুক্তির নির্দেশ দিয়ে আদালত জানিয়েছিল, তিনি আত্মহত্যার জন্য অনশন করছেন না, এটা তাঁর রাজনৈতিক আন্দোলন। একই সঙ্গে আদালত রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, চানু অনশন চালিয়ে গেলে, তাঁর স্বাস্থ্যরক্ষার দায়িত্ব রাজ্য প্রশাসনকেই নিতে হবে।
২০ অগস্ট বিকেলে ইম্ফলের জওহরলাল নেহরু হাসপাতালের জেল হেফাজত থেকে মুক্তি পান চানু। হাসপাতালের সামনেই ফের শুরু হয় তাঁর অনশন আন্দোলন। অনুগামীদের আশঙ্কা ছিল, পুলিশ ফের চানুকে বন্দি করবে।
বাস্তবে তাই হল। এ দিন সকালে সরকারি চিকিৎসক দল ‘শর্মিলা কানবা লুপের’ আন্দোলন-মঞ্চে চানুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। মণিপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাইখংবাম বলেন, “চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, প্রায় ৪০ ঘণ্টা চানু কিছুই খাননি। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে না-নিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য উপায় ছিল না।” মণিপুর সরকার এখনও নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন জানায়নি। তাই কী ভাবে ফের চানুকে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনুগামীরা। বিকেলে লড়াকু নেত্রীর বাড়িতে গ্রেফতারির খবর পাঠায় পুলিশ। আগামী কাল তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। এ দিন সকালে যে ভাবে চানুকে পুলিশ আন্দোলন-মঞ্চ থেকে চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যায়, তার বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তাঁর ভাই ইরম সিংহজিৎ বলেন, “টানাটানিতে ওঁর হাতে আঘাত লেগেছে। নখও উপড়ে গিয়েছে। আমরা আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছি।”