নিশানায় ১৮৫।
বিহার বিধানসভা ভোটে কমপক্ষে এতগুলি আসন দখল করতে চায় বিজেপি। ভোট টানতে দলের নতুন স্লোগান ‘জয় জয় বিহার, বিহার মে ভাজপা কা সরকার’। সেই লক্ষ্যেই সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে প্রদেশ বিজেপি-র অন্দরে। জানুয়ারির প্রথমে বিহারে দলের কর্মসমিতির দু’দিনের বৈঠকে জাতীয় সভাপতি অমিত শাহের ‘মন্ত্র’ কার্যকর করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়। বিজেপি সূত্রে খবর, ‘যেখানে নির্বাচন, সেখানেই বিজেপি সরকার’ তেমন রণকৌশলই তৈরি করা হচ্ছে। এ বছর অক্টোবর বা নভেম্বরে ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভার ভোটগ্রহণ হতে পারে।
রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে দলের কেন্দ্রীয় নেতা তথা সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) রামলালের নেতৃত্বে ছক কষছে প্রদেশ বিজেপি। রাজ্যের প্রায় ৭ হাজার বুথ সংলগ্ন এলাকার প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে ১০০ জন সদস্য তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সে জন্য এপ্রিলে দলের বুথ কমিটিগুলির নেতাদের নিয়ে সম্মেলন করবে বিজেপি। প্রদেশ নেতৃত্বের দাবি, সেখানে লক্ষাধিক কর্মী সামিল হবেন। বিহারের উন্নয়নে এক দলের স্থায়ী সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বুথভিত্তিক ভোট প্রচারে ওই কথা গুরুত্ব দিয়ে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হবে। আরও বলা হবে, কেন্দ্র ও রাজ্যে এক দলের সরকার থাকলে উন্নয়নের জোয়ার আসবে। পাশাপাশি, লালু-নীতীশের দু’দশকের শত্রুতার কথাও মানুষকে জানানোর কৌশল নিতে চলেছে বিজেপি। বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে দলের তৃণমূল স্তরের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, লালু-নীতীশের দল মিশলে ভোট-যুদ্ধ কিছুটা কঠিন হলেও, মোদীর ‘ম্যাজিকে’ বিরোধীদের ধরাশায়ী করা সম্ভব।
দলীয় সূত্রে খবর, কর্পূরি ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে আগামী ২৩ জানুয়ারি বিহার সফরে আসতে পারেন অমিত শাহ। তাতে বিজেপি কর্মীদের মনোবল বাড়বে অনেকটাই। মূলত রাজ্যের নিম্নবর্ণের ভোট টানতেই এ বার ওই জননেতার জন্মজয়ন্তী ভাল ভাবে পালন করতে চায় বিজেপি। প্রদেশ বিজেপি-র এক নেতার কথায়, “ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই বিধানসভা ভোটের দামামা বাজানো হবে।”
এ বারের বিধানসভা ভোটে লড়াই অন্য মাত্রা পেতে চলেছে। এক জোট হয়ে লড়বেন লালু প্রসাদ, নীতীশ কুমার। জাতপাতের নিয়ন্ত্রণাধীন রাজ্য-রাজনীতিতে তার জেরে ভোটের সমীকরণ আমূল বদলাতে পারে।