ধর্ষণের বাইরে নয় ‘লিভ ইন’, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট

‘লিভ ইন’ সম্পর্ককে ধর্ষণের আওতার বাইরে রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট এ কথা জানিয়েছে। অনিল দত্ত শর্মা নামে এক ব্যক্তি জনস্বাথর্র্ মামলা দায়ের করে আর্জি জানিয়েছিলেন, ‘লিভ ইন’ সম্পর্ককে ধর্ষণের আওতার বাইরে রাখা হোক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৫ ০৩:৫১
Share:

‘লিভ ইন’ সম্পর্ককে ধর্ষণের আওতার বাইরে রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট এ কথা জানিয়েছে।

Advertisement

অনিল দত্ত শর্মা নামে এক ব্যক্তি জনস্বাথর্র্ মামলা দায়ের করে আর্জি জানিয়েছিলেন, ‘লিভ ইন’ সম্পর্ককে ধর্ষণের আওতার বাইরে রাখা হোক। এবং এই কাজের জন্য একটি নির্দেশিকা তৈরি করে দিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হোক। কিন্তু প্রধান বিচারপতি জি রোহিণী এবং বিচারপতি রাজীব সহায় এন্দলোর ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “লিভ ইন সম্পর্ককে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারার (ধর্ষণ) বাইরে রাখা হলে এই সম্পর্ককে বিবাহের মর্যাদা দেওয়া হয়ে যাবে। যা সম্ভব নয়। কারণ বিবাহ আর লিভ ইন সম্পর্ক এক নয়।”

জনস্বার্থ মামলাটিতে আরও আর্জি জানানো হয়েছিল, ‘লিভ ইন’ সম্পর্কে কোনও পার্টনার যদি অন্য কোনও পার্টনারের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আনেন, তবে তা ধর্ষণ নয়, প্রতারণার মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করা হোক। এই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।

Advertisement

অনিল দত্ত শর্মা জানান, অনেক সময়েই দেখা যায়, ধর্ষণে অভিযুক্ত অনেক ব্যক্তিকে কোর্ট ছেড়ে দিয়েছে, কারণ মহিলারা তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছিলেন। তাঁর কথায়, “৭০ শতাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে দেখা যায়, ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন, কিন্তু তাঁর পরিবারের সদস্যদের সামাজিক নিগ্রহের শিকার হতে হচ্ছে।” তাই তাঁর আর্জি, ধর্ষণে অভিযুক্তরা বেকসুর খালাস পাওয়ার পরে আইনের অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যেন মামলা করতে পারেন। এবং তাঁর জন্য কেন্দ্র এবং দিল্লি সরকারকে একটি নির্দেশিকা চালুর নির্দেশ দেওয়া হোক। জনস্বার্থ মামলাটিতে আরও জানানো হয়েছে, শুধু মাত্র কোনও মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে যেন কোনও পুরুষকে গ্রেফতার না করা হয়। প্রাথমিক তদন্ত এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট পাওয়ার পরেই যেন এই ব্যাপারে পদক্ষেপকরা হয়। তবে বেঞ্চের মতে, আবেদনকারীর বর্তমান আইন সম্পর্কে ধারণা খুবই কম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement