অভিযোগই দায়ের হয় না বহু ক্ষেত্রে। যদি বা হয়, অভিযুক্তদের হুমকি ও রক্তচক্ষুর মুখে পড়তে হয় নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারকে। চাপের মুখে পড়ে ধর্ষণের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার উদাহরণ ভূরি ভূরি। এই পরিস্থিতি বদলাতে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনে একটি বিশেষ সংশোধনী আনার পক্ষে সওয়াল করলেন শিক্ষাবিদ ও প্রাক্তন আমলাদের একাংশ।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট (ইউইএম, জয়পুর) সংস্থার তরফে আয়োজিত আলোচনা চক্রে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে ‘রিস্ট্রেনিং অর্ডার’ নামে একটি বিশেষ সংশোধনী আনার পক্ষে সওয়াল করা হয়। কানাডার সংবিধানে এই রকম একটি আইন রয়েছে। যেখানে বলা আছে, মামলা চলাকালীন অভিযুক্ত কখনই নির্যাতিতার একশো মিটারের কাছকাছি যেতে পারবে না।
নইলে সঙ্গে সঙ্গে তার জামিন খারিজ হয়ে যাবে। এমনকী ফোন-ই মেল বা অন্য কোনও মাধ্যমের সাহায্যে নির্যাতিতা বা তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই জামিন বাতিল হবে।
ইউইএম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সত্যজিৎ চক্রবর্তী দাবি করেন, “ওই ঘটনার পরে কানাডায় নির্যাতিতাদের উপর হামলা অনেক কমে গিয়েছে।” আলোচনাচক্রে উপস্থিত প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব জি কে পিল্লাইও মনে করেন, যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত আইনকে আরও কার্যকর করতে কানাডার ওই নিয়মকে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
নির্ভয়া কাণ্ডের দুই দোষীর ফাঁসি স্থগিত
নির্ভয়া কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত চার জনের মধ্যে দু’জনের মৃত্যুদণ্ড ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তাদের নাম মুকেশ এবং পবন গুপ্ত। শনিবার বিচারপতি রঞ্জনাপ্রকাশ দেসাই এবং শিবকৃতি সিংহের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকেও এই নির্দেশের কথা জানিয়ে দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। নিম্ন আদালত মুকেশ, পবন গুপ্ত, অক্ষয় ঠাকুর এবং বিনয় শর্মাকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। দিল্লি হাইকোর্টও তা বজায় রেখেছে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মুকেশ এবং পবন। আট দিনের মধ্যে মামলাটির শুনানি হবে।