বেঙ্গালুরুতে বহুজাতিক সফ্টওয়্যার সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার ওই তরুণী। পাসপোর্ট ‘ভেরিফিকেশন’এর সময় তাঁকে অপরাধীর তকমা দিল পুলিশ। শুধু তাই নয়, রিপোর্টে জানানো হল, ৫ বছর ধরে জেলে বন্দি রয়েছেন পূর্ব চম্পারণের পল্লবী পুষম!
এ সবে হতবাক তরুণীর পরিবার। তাঁরা অভিযোগ তুলেছেন, পল্লবীর বিষয়ে খোঁজখবর নিতে যাওয়া স্থানীয় থানার পুলিশকর্মী ঘুষ না পেয়েই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। জেলার পুলিশকর্তারা অবশ্য দাবি করছেন, ইংরেজিতে লেখা নথিপত্র ঠিকমতো বুঝতে পারেননি অভিযুক্ত এসআই। তাতেই গোলমাল বেঁধেছে।
কাজের জন্য জাপান যেতে হবে রক্সৌলের বাসিন্দা বছর তিরিশের পল্লবীকে। সে জন্য কয়েক দিন আগে পটনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আবেদন জানান তিনি। সংশ্লিষ্ট থানাকে তাঁর বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বলা হয়। পল্লবী জানান, এসআই বেচু রাম তাঁর বাড়িতে যান। পরে তিনিই রিপোর্ট দেন, পল্লবীর বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক মামলা চলছে। ৫ বছর ধরে তিনি জেলে বন্দি রয়েছেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ পল্লবীর বাবা, কলেজ শিক্ষক অনিল সিন্হা। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, সঠিক রিপোর্ট দেওয়ার বদলে ৫ হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মী। তাঁর নামে জেলার এসপি’র কাছে নালিশ ঠুকেছেন অনিলবাবু।
অভিযোগ মানতে নারাজ বেচু রাম। তিনি বলছেন, “আমি কারও কাছে টাকা চাইনি। ভুল বোঝাবুঝির জন্য এ সব হয়েছে। সে জন্য ওঁদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছি।” এসপি সুনীল কুমার বলেছেন, “ওই অফিসার ইংরেজিতে লেখা নথি বুঝতে পারেননি। এতেই সমস্যা হয়। ওই এসআইয়ের কাছে এ নিয়ে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে।” পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এ রকম পরিস্থিতি এড়াতে থানাগুলিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। এ বার থেকে ইংরেজি পড়তে-বুঝতে জানা পুলিশকর্মীরাই পাসপোর্ট সংক্রান্ত কাজকর্ম দেখবেন। এসপি বলেন, “ভুল শুধরে নিতে পটনার পাসপোর্ট অফিসের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি।”
বেঙ্গালুরু থেকে টেলিফোনে পল্লবী বলছেন, “পুলিশ কী ভাবে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করতে পারে। এতে আমার চাকরির ক্ষতি হতে পারত।” তিনি প্রশ্ন তুলছেন, তা হলে কি টাকার বদলে কোনও অপরাধীর পুলিশ-রেকর্ডও বদলে দেওয়া যায়!