মাত্র চার মাস আগে দিল্লিতে ক্ষমতায় ছিল তাঁর দল। আর এখন কার্যত দলে ভাঙন রুখতে হিমশিম খাচ্ছেন অরবিন্দ কেজরীবাল।
লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই আম আদমি পার্টিতে (আপ) ভাঙন অব্যাহত। যে অরবিন্দকে সামনে রেখে রাজনীতিতে উত্থান ঘটেছিল আপের, এখন সেই অরবিন্দের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ দলের একটি বড় অংশ। অরবিন্দ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাদের স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের কারণে দল ছেড়েছেন সাজিয়া ইলমি। বসে গিয়েছেন আর এক আপ নেতা কুমার বিশ্বাস। অরবিন্দের স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে দলীয় বৈঠকে যোগেন্দ্র যাদব প্রশ্ন তোলায় গতকাল তাঁর সঙ্গে বাগ্যুুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন কেজরী ঘনিষ্ঠ মণীশ সিসৌদিয়া। নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় আজ আসরে নামতে বাধ্য হন কেজরীবাল। তাঁর সঙ্গে অন্যদের মতপার্থক্য দূর করতে যোগেন্দ্র বা সাজিয়ার মতো বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে তিনি অবিলম্বে বৈঠক করবেন বলেও জানান কেজরীবাল।
সরকার থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকেই মতপার্থক্য শুরু। লোকসভায় ভরাডুবির পরে তা চরমে ওঠে। অরবিন্দের স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলেই। এই সমালোচনার আবহেই দলের রাজনৈতিক কমিটির বৈঠক হয়। দলের বিরোধী অংশকে আশ্বস্ত করে অরবিন্দ জানান, “যোগেন্দ্রর বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে দল।” টুইট করে তিনি বলেন, “সাজিয়াকে দলে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে।” এ দিকে আপের এই মানভঞ্জনের পর্বকে নাটক বলে ব্যাখ্যা করেছেন কংগ্রেস ও বিজেপি নেতৃত্ব। দলে বিদ্রোহের কারণ যে তিনিই তা বিলক্ষণ বুঝছেন কেজরীবাল। আপের এক নেতার মতে, একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ খণ্ডন করতে বার্তা দিয়ে বিরোধী শিবিরকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন কেজরীবাল। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন দলের বিরোধী স্বরকেও সমান ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে কী হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে দলের মধ্যেই। অরবিন্দ ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, “দিনের শেষে অরবিন্দ নিজে যে সিদ্ধান্ত নেন সেটা তিনি বাস্তবায়িত করেন।” পরিস্থিতির চাপে তিনি সত্যিই কিছুটা নমনীয় হন কি না তা-ই এখন দেখার।