অন্ধ্রপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। —ফাইল চিত্র।
ভোটের আগে অন্ধ্রপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসে ভাঙন অব্যাহত। সোমবার জগনের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারের অভিযোগ তুলে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন নারসারাওপেটের সাংসদ লাভু শ্রীকৃষ্ণ দেবারায়ালু। জল্পনা, জগনের বোন তথা বিভক্ত অন্ধ্রের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডির কন্যা শর্মিলা এবং তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে তাঁর ‘যোগাযোগ’ রয়েছে। চলতি মাসেই কংগ্রেসে যোগ দিয়ে প্রদেশ সভানেত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন শর্মিলা।
চলতি বছর লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তার আগে ক্রমাগত ভাঙন ধরছে জগনের দলে। চলতি মাসে এই নিয়ে তিন সাংসদ এবং দুই বিধায়ক ওয়াইএসআর কংগ্রেস ছাড়লেন। শ্রীকৃষ্ণ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছর ধরে আমি নারসারাওপেটের মানুষের জন্য কাজ করেছি। হঠাৎ আমাকে বলা হল আসন বদল করতে হবে। তারই প্রতিবাদে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি।’’ প্রসঙ্গত, গত ১০ জানুয়ারি কুর্নুলের সাংসদ সঞ্জীব কুমার এবং ১৩ জানুয়ারি মছলিপত্তনমের সাংসদ বল্লভানেনি বালোশ্বরী দল জগনের দল ছেড়েছিলেন।
এখানেই শেষ নয়, টিকিট না পাওয়ার সম্ভবনার কারণে এম শ্রীনিবাসুলু রেড্ডি (ওঙ্গলে), গোরান্তলা মাধব (হিন্দুপুর), কোটাগিরি শ্রীধর (এলুরু)-এর মতো সাংসদেরাও জগন-সঙ্গ ছাড়তে পারেন বলে জল্পনা রয়েছে। অনন্তপুর জেলার রায়দুর্গের ওয়াইএসআর কংগ্রেস বিধায়ক কে রামচন্দ্র রেড্ডি চলতি মাসেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। রাজশেখর ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন মন্ত্রী কোন্থালা রামকৃষ্ণ, বিদ্রোহী ওয়াইএসআর কংগ্রেস বিধায়ক অল্লা রামকৃষ্ণ রেড্ডি (অন্ধ্র রাজনীতিতে ‘আরকে’ নামে জনপ্রিয়), তিপ্পালা নাগি রেড্ডির মতো নেতারা কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে।