অমিত শাহ (বাঁ দিকে) এবং নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
স্লোগান ঠিক হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই— ‘তিসরি বার মোদী সরকার, অব কি বার চারশো পার’। বাংলা তর্জমায় যার অর্থ, ‘তৃতীয় বার মোদী সরকার, এ বার ৪০০ আসনের বেশি’। আর আগামী লোকসভা ভোটে সেই লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যে এ বার নতুন কৌশল নিতে চলেছেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৪০০টির বেশি জেতার লক্ষ্যে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ-জেপি নড্ডাদের অন্যতম কৌশল হল বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের ‘কাছে টানা’। ২০২১ সালে নীলবাড়ির লড়াইয়ের আগে বাংলা জুড়ে যেমন ‘যোগদান মেলা’ করে তৃণমূল এবং অন্য দলের নেতাদের বিজেপিতে আনা হয়েছিল, এ বার সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে তেমন ‘ছবি’ দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
মঙ্গলবার রাতে বিজেপি সভাপতি নড্ডা দলের গুরুত্বপূর্ণ সর্বভারতীয় পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে এনডিটিভি-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওই বৈঠকে বিরোধী নেতানেত্রীদের সঙ্গে ‘যোগাযোগের’ দায়িত্ব পেয়েছেন বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে। বিজেপির ওই সূত্র জানাচ্ছে, মূলত ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে হারা ১৬০টি আসনে ‘প্রভাব এবং জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে’ এমন বিরোধী নেতানেত্রীদের খুঁজবে বিনোদের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি। তার পরে শীর্ষনেতৃত্বের অনুমোদনে তাঁদের সঙ্গে ‘যোগাযোগ’ করা হবে।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের নেতা বিনোদ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জাতীয় কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য ছিলেন। দু’দফায় মহারাষ্ট্র বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। প্রথম বার ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৯। দ্বিতীয় বার ২০০২ থেকে ২০১১। ২০১৪ সালের বিধানসভা ভোটের পরে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের নেতৃত্বাধীন বিজেপি-শিবসেনা জোট সরকারের শিক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালে বাংলায় নীলবাড়ির লড়াইয়ে বিনোদের দায়িত্বে ছিল ‘নবদ্বীপ জ়োন’। ওই ‘জ়োনে’ ছিল মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার একাংশ।