ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। ফাইল চিত্র।
আইপ্যাক-এর ২৩ সদস্যকে হোটেলবন্দি করে রাখার প্রতিবাদ জানাল যুব তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে #বিপ্লববাবুআপনিওকাবু এই ট্যাগ দিয়ে টুইটারে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে তারা।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের শীর্ষ সারির নেতারা আইপ্যাক-এর সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ পাঠিয়ে তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই প্রসঙ্গে টুইটে যুব তৃণমূল কংগ্রেস লিখেছে, ‘কোভিড বিধি মানার পরেও কেন তৃণমূলের নেতাদের পুলিশ পাঠিয়ে বাধা দেওয়া হল। ত্রিপুরা সরকার জেনেবুঝেই এ কাজ করেছে। এর থেকে এটাই স্পষ্ট যে, আসল খেলা শুরু হওয়ার আগেই ত্রিপুর সরকার তাদের হার মেনে নিয়েছে। আমরা সরকারের এই একনায়ক ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
সোমবার আগরতলার একটি হোটেলে আইপ্যাকের ২৩ জন সদস্যকে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে ত্রিপুরা পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের হয় ত্রিপুরায় সমীক্ষা করতে গিয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার সদস্যরা। হোটেলে আটকে রাখার পাশাপাশি তাঁদের জেরা করা নোটিসওধরায় পুলিশ। বৃহস্পতিবারই আইপ্যাকের প্রতিনিধিরাআগরতলার আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন।
আইপ্যাকের প্রতিনিধিদের আটকে রাখার প্রতিবাদে বুধবারই আগরতলা গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও আইএনটিটিইউসি সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার প্রতিবাদের সুর চড়া করতে ত্রিপুরা গিয়েছেন রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ও বারাসত লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। আবার শুক্রবার দু’দিনের সফরে আগরতলা যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আইপ্যাকের প্রতিনিধিদের হোটেলবন্দি করে রাখার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব বলেন, “ত্রিপুরাবাসী অতিথিপরায়ন। যেটা পুলিশের কাজ পুলিশ করবে। তাতে রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। অন্য কেউও হস্তক্ষেপ করবে না। কারণ ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী রাজ্য। সামনেই স্বাধীনতা দিবস। না জানিয়ে যদি কোনও গ্রুপ আসে। সেক্ষেত্রে প্রশাসনেরও দায়িত্ব থাকে। আমাদের গ্রামেও যদি দু’জন নতুন মানুষ আসে, তা-ও লোক জিজ্ঞাসা করে, কারা এসেছে?’’