— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দুই পরিবারের মধ্যে গোলমাল। আগুন ধরানো হল জিপে। তার ভিতর বসে ঝলসে মারা গেলেন এক যুবক। বাকি দু’জন পালানোর চেষ্টা করলে তাঁদের গুলি করে খুনের অভিযোগ। আহত বেশ কয়েক জন। মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলার ঘটনা। এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চক্রামপুর গ্রামে কুশওয়াহা এবং ভাদৌরিয়া পরিবারের মধ্যে বিবাদের জেরেই মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। প্রায় দু’মাস আগে গণেশ পুজোর নিরঞ্জনে ডিজের গান বাজানো নিয়ে দুই পরিবারের ঝামেলা শুরু হয়।
শুক্রবার জিপে চেপে গোয়ালিয়র থেকে ফিরছিলেন মুন্না ভাদৌরিয়ার পরিবার। রাত ৯টা নাগাদ কুশওয়াহাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িটিকে আটকানো হয় বলে অভিযোগ। ভাদৌরিয়াদের গাড়ি লক্ষ্য করে বিপক্ষের লোকজন পাথর ছোড়ে। ২০ থেকে ২৫ জন ঘেরাও করে গাড়িটি। তার পর আগুন ধরিয়ে দেয়। গাড়ির সওয়ারিরা পালানোর চেষ্টা করলে তাঁদের ধরে কাস্তে, রড দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
গাড়ির ভিতর বসে ঝলসে মারা যান ২০ বছরের হিমাংশু। তিনি ভাইফোঁটা উপলক্ষে পিসি আশা দেবীর বাড়ি এসেছিলেন। আশা (৫২) এবং তাঁর দেওর লক্ষ্মণকেও গাড়ি থেকে পালানোর সময় গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। আশার স্বামী মুন্না, ছেলে যোগেন্দ্র সিংহ, রাজেন্দ্র সিংহ-সহ আরও কয়েক জন গুরুতর আহত। কুশওয়াহা পরিবারের সদস্য দীনেশও জখম হয়েছেন। তাঁর বয়স ২৬ বছর।
এই ঘটনার পরের দিন, শনিবার অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে ভাদৌরিয়া পরিবার। এর পরেই সক্রিয় হয় প্রশাসন। গ্রেফতার হন ১০ জন। অভিযুক্তদের বাড়ি বুলডোজ়ার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই পরিবারের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।