Beaten to death

নেশামুক্তি কেন্দ্রে হাত-পা বেঁধে দু’ঘণ্টা ধরে মার যুবককে, যৌনাঙ্গে ঢালা হল গলানো প্লাস্টিক!

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম হার্দিক সুথর। একটি অসরকারি সংস্থার উদ্যোগে মেহসানা জেলার একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে মাস ছয়েক আগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হার্দিককে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সুরত শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৩ ১২:৩৭
Share:

নেশামুক্তি কেন্দ্রে যুবককে খুনের অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

নেশামুক্তি কেন্দ্রে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল গুজরাতের সুরতে। ঘটনাটি গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঘটেছে। কিন্তু সেই ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ঘটনারই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম হার্দিক সুথর। একটি অসরকারি সংস্থার উদ্যোগে মেহসানা জেলার একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে মাস ছয়েক আগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হার্দিককে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাথরুমে ঢুকে হাতের শিরা কেটে ফেলার চেষ্টা করেন হার্দিক। ঘটনাটি নেশামুক্তি কেন্দ্রের কয়েক জন দেখে ফেলেন। তার পরই তাঁরা খবর দেন কেন্দ্রের ম্যানেজার সন্দীপ পটেলকে।

পুলিশ জানিয়েছে, এর পরই হার্দিককে বাথরুম থেকে বার করা হয়। অভিযোগ, ম্যানেজার এবং বেশ কয়েক জন মিলে হার্দিকের হাত-পা বাঁধেন। তার পর ফাইবারের লাঠি দিয়ে ঘণ্টা দু’য়েক ধরে পেটানো হয়। শুধু তাই নয়, প্লাস্টিক গলিয়ে হার্দিকের যৌনাঙ্গেও ঢালা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হার্দিকের।

Advertisement

হার্দিককে মারধরের সেই দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।

এর পরই সেই মৃত্যু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। হার্দিকের মৃত্যু স্বাভাবিক ভাবেই হয়েছে বলে দাবি করা হয়। শুধু তাই-ই নয়, তাঁর দেহ সৎকারও করে দেয় নেশামুক্তি কেন্দ্র। হার্দিকের কোনও খবর না পেয়ে তাঁর পরিবার একটি অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তে নামার পর ১৭ ফেব্রুয়ারির একটি ভিডিয়ো পুলিশের হাতে আসে। সেই ভিডিয়ো দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ম্যানেজার সন্দীপ পটেলকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement