গাড়ি থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে ধর্ষণ করা হল এক তরুণীকে। রবিবার গভীর রাতে গুরুগ্রামের সেক্টর ৫৭-র ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত-সহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ওই তরুণী স্বামীর সঙ্গে গুরুগ্রামের সাউথ সিটি ১-এ একটি ভাড়াবাড়িতে থাকেন। পুলিশের কাছে বয়ানে ওই তরুণী জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় টিঘরায় তাঁর ভাসুরের বাড়িতে নেমতন্ন ছিল। স্বামীর সঙ্গে সেখানেই গিয়েছিলেন তিনি। খাওয়াদাওয়া করে ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হওয়ায় গাড়িতে করে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে যান ভাসুরের ছেলে ও অন্য তিন আত্মীয়।
পথে বিজনেস পার্ক টাওয়ারের কাছে রাস্তার ধারে গাড়ি থামিয়ে প্রস্রাব করতে নেমেছিলেন স্বামী। ভাসুরের ছেলেও জল খেতে গাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন। অন্য আত্মীয়দের সঙ্গে গাড়ির ভিতরেই বসেছিলেন ওই তরুণী। হঠাৎ তাঁদের গাড়ির পাশে এসে দাঁড়ায় আরও দু’টি গাড়ি। ওই গাড়ি দু’টিতে দু’জন করে যুবক ছিল। তারা জানতে চায়, রাস্তার ধারে কেন তাঁদের গাড়ি থামানো হয়েছে? তরুণীর দাবি, সে সময় ওই যুবকেরা মত্ত অবস্থায় ছিল। সে সময় তাঁর স্বামী সেখানে ফিরে আসেন। ওই যুবকদের সঙ্গে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। অভিযোগ, বচসার সময় স্বামী ও ভাসুরের ছেলেকে রাস্তায় ফেলে পেটাতে থাকে তারা।
ওই তরুণীর কথায়, “গাড়ির সিটে অসাড় হয়ে বসেছিলাম। হঠাৎই এক জনের নজর পড়ে আমার উপর। গাড়ি থেকে টেনে-হিঁচড়ে আমাকে নামায় একটি ছেলে। অন্য একটি ছেলে আমাকে ছেড়ে দিতে বললেও সে কথা শোনেনি। রাস্তার ধারে একটি ঝোপের আড়ালে টেনে নিয়ে যায় সে। সেখানেই মারধর করে ধর্ষণ করা হয় আমাকে।”
আরও পড়ুন: ভারত কি ঝুঁকছে ইজরায়েলের দিকে? এঁরা বললেন...
আরও পড়ুন: পড়েই আছে ‘প্রাক্তন’বুদ্ধের একমাত্র আর্জি
এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন
ঘটনার সময় ওই যুবককে রেখেই সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় তার তিন সঙ্গী। তরুণীর স্বামীই গাড়ির নম্বর লিখে রাখেন। এর পর পুলিশকে খবর দেন তিনি।
গুরুগ্রাম পুলিশের মুখপাত্র এসিপি মণীশ সহগল জানিয়েছেন, মূল অভিযুক্ত বছর বাইশের সঞ্জিৎ-সহ ও তার তিন সঙ্গী ধর্মেন্দ্র, দেশবীর, পবনকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২২-২৬ বছরের ওই যুবকেরা সকলেই সোহনা এলাকার জোহলাকা গ্রামের বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। মঙ্গলবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হবে।