এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
তিন বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল হরিয়ানায়। তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে গ্রামের একটি ঝোপের আড়াল থেকে। অভিযোগ, বাড়ির সামনে থেকে শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর তাকে ধর্ষণ এবং খুন করে ফেলে রাখা হয়। গ্রামেরই এক যুবককে এই ঘটনার পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি হরিয়ানার নুহ জেলার। শিশুর পরিবারের দাবি, ঝোপের ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল তার দেহ। সারা গায়ে ছিল চাপ চাপ রক্তের দাগ। শিশুটির হাত এবং পা ভাঙা অবস্থায় ছিল বলেও দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যেরা।
শনিবার রাতে নুহ জেলার পিনগওয়াঁ থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে রাত ১১টা নাগাদ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল তারা। শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তার দেহে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
শিশুর পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, শনিবার বিকেলে বাড়ির সামনেই খেলা করছিল তিন বছরের বালিকা। বিকেল ৪টে নাগাদ স্থানীয় এক যুবক এসে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। তার পর থেকে শিশুটি আর বাড়ি ফেরেনি। রাতে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যেরা। রাত ১১টার কিছু আগে ঝোপের ধার থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শিশুর পরিবার।
এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে ধরতে স্থানীয় থানায় পুলিশের চারটি দল তৈরি করা হয়েছিল। পিনগওয়াঁর এসএইচও সুভাষ চাঁদ জানিয়েছেন, রবিবার মারোরা গ্রামের কাছ থেকে যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।