কৃষকরা পুরোপুরি স্বস্তি পাননি বলেই মনে করছেন রাহুল। তবু যোগী সরকারের প্রশংসাই করলেন তিনি। —ফাইল চিত্র।
বিজেপির প্রশংসায় কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের ক্যাবিনেট কৃষিঋণ মকুবের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে। বুধবার তাতেই সন্তোষ প্রকাশ করলেন রাহুল। চাষিরা সম্পূর্ণ স্বস্তি পেয়েছেন বলে রাহুল গাঁধী মনে করছেন না। তবে কংগ্রেস সহ-সভাপতির টুইট— সঠিক দিশাতেই পদক্ষেপ করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। শুধু উত্তরপ্রদেশে নয়, গোটা দেশেই কৃষকদের ঋণ মকুব হওয়া উচিত বলেও রাহুল গাঁধী এ দিন দাবি জানিয়েছেন।
নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার ১৫ দিন পর প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকটি করেছেন যোগী। সাধারণত এমনটা হয় না। মন্ত্রিসভা গঠনের পর পরই ক্যাবিনেট বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতিশ্রুতি ছিল, বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই কৃষিঋণ মকুব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই প্রতিশ্রুতি রাখতেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ১৫ দিন পর প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠক ডাকেন। কৃষিঋণ মকুবের প্রস্তুতি নিয়েই প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকটি ডেকেছিলেন তিনি এবং প্রথম বৈঠকেই প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুবের প্রস্তাবে মন্ত্রিসভা সিলমোহর দিয়েছে। রাজ্যের ৮৬.৬৮ লক্ষ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০১৬ সালের মার্চের আগে নেওয়া এই ঋণ এ বছরের মার্চ পর্যন্ত যাঁরা মেটাতে পারেননি, এমন কৃষকরাই এর সুবিধা পাবেন। আরও ৭ লক্ষ কৃষকের ঋণ, যেগুলি ‘অনুৎপাদক সম্পদ’ হয়ে গিয়েছে, তা-ও মকুব হবে। সব মিলিয়ে সরকারের বোঝা ৩৬,৩৫৯ কোটি টাকা।
কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী সে প্রসঙ্গে আজ টুইটারে লিখেছেন, ‘‘কংগ্রেস কৃষকদের ঋণ মকুব করাকে সমর্থন করে। কিন্তু এটা একটা আংশিক পদক্ষেপ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত, সারা দেশের কৃষকদের দুর্দশা দূর করতে উদ্যোগী হওয়া।’’
১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ মকুবের সিদ্ধান্তকে কৃষকদের সম্পূর্ণ স্বস্তি বলতে রাহুল নারাজ। তিনি লিখেছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের জন্য আংশিক স্বস্তি।’’ একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘‘কিন্তু এটি সঠিক দিশায় একটি পদক্ষেপ। কংগ্রেস সব সময়ই দুর্দশাগ্রস্ত কৃষকদের ঋণ মকুবের পক্ষে।’’
আরও পড়ুন: ৮৬ লক্ষ কৃষকের ঋণ মকুব যোগীর
উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে রাহুল যাঁর হাত ধরে লড়েছিলেন, সেই অখিলেশ যাদব কিন্তু ততটা উদারতা দেখাতে পারেননি। কৃষকদের বিজেপি ‘ধোঁকা’ দিয়েছে বলে অখিলেশ মন্তব্য করেছেন। ‘‘কৃষিঋণ পুরোপুরি মকুবের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল... এক লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বসীমা ঘোষিত হওয়ায় কৃষকরা প্রতারিত বোধ করছেন।’’ টুইটারে এমনই লিখেছেন অখিলেশ।