ফাইল চিত্র।
যোগী আদিত্যনাথকে সামনে রেখেই উত্তরপ্রদেশে ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচন লড়বে দল। বিজেপি সূত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি থাকছেন স্বতন্ত্র দেব। এই দু’জনের নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচনের লড়াইয়ে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন আমলা এ কে শর্মাকে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ করা হতে পারে বলে জোর চর্চা চলছে গেরুয়া শিবিরে।
রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে দলের অন্দরেই যোগীর বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছিল। বিরোধীরাও যোগী সরকারের কোভিড ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বার বার। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে চলে না যায়, তড়িঘড়ি দিল্লি থেকে ছুটে আসেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এমনও জল্পনা চলতে থাকে, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের রোষে পড়তে পারেন যোগী।
কিন্তু সে সব জল্পনাকে উড়িয়ে বিজেপি সূত্রে জানানো হয়, যোগীই মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন। শুধু তাই নয়, আগামী নির্বাচনেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী এবং রাজ্য বিজেপি-র প্রধান মুখ। দলের একাংশের দাবি, যোগীর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, তৃণমূল স্তরে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতা এবং সরকার চালানোর দক্ষতাই বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আস্থা অর্জনের চাবিকাঠি। আর সেই চাবিকাঠিই এ যাত্রায় যোগীকে বাঁচাল বলে মনে করছেন তাঁরা।
যোগী এ যাত্রায় রেহাই পেলেও, তাঁর সরকারে কিন্তু বেশ কিছু রদবদলের ইঙ্গিত মিলেছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই রদবদল হতে পারে বলে সূত্রের খবর। দলের একাংশের দাবি, মোদী-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন আমলা শর্মার ভূমিকা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে সংগঠনগত ক্ষেত্রে কোনও বিশেষ পরিবর্তন আনা হচ্ছে না বলেও ওই সূত্রের দাবি।