যোগী আদিত্যনাথ।
উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে পুলিশ অফিসার খুনের মামলায় অভিযুক্তদের মালা পরানো কিংবা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়ার ঘটনার আপত্তিুর কিছু নেই বলেই মনে করছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
গত ডিসেম্বর মাসে বুলন্দশহরে পুলিশ ইনস্পেক্টর সুবোধ কুমার সিংহের হত্যা মামলায় অভিযুক্ত বিজেপির যুব সংগঠনের প্রাক্তন নেতা শিখর আগরওয়াল সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন। তার পরেই তাকে ঘিরে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে আজ উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কে পি মৌর্য মন্তব্য করেন, ‘‘জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে সমর্থকেরা যদি কাউকে স্বাগত জানান, তার সঙ্গে সরকার কিংবা বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।’’ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব এই ঘটনায় যোগী সরকারকে আক্রমণ করে মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে চলেছে। তবে এক জন পুলিশ ইনস্পেক্টর যখন খুন হচ্ছেন, আর অভিযুক্তদের মালা পরানো হচ্ছে, সেটাই কি গণতন্ত্রের নতুন সংজ্ঞা?’’ মৌর্যের পাল্টা মন্তব্য, ‘‘ঢিবিকে পাহাড় বানানো উচিত নয় বিরোধীদের।’’ তবে শুধু বিরোধীরাই নন, নিহত পুলিশ ইনস্পেক্টরের পরিবারও এই ঘটনায় প্রবল ক্ষোভ জানিয়েছে। সুবোধ কুমার সিংহের ছেলে শ্রেয় প্রতাপ সিংহ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে আর্জি জানাচ্ছি, এই সমাজবিরোধীদের ফের জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা হোক। সমাজের স্বার্থেই এটা করতে হবে। যে একবার অপরাধ করেছে, সে আবারও করতে পারে। এই ধরনের লোকেদের জেলের বাইরে থাকা শুধু আমারই নয়, সকলের জন্যই বিপদের।’’ খুনের ছ’মাস পরেই অভিযুক্তেরা কী ভাবে জামিন পেলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সুবোধের স্ত্রী।
গত ডিসেম্বরে বুলন্দশহরে ২৫টি গরুর দেহাবশেষ মেলার পরে উত্তেজনা ছড়ায়। তা থামাতে এলাকায় পৌঁছন পুলিশ ইনস্পেক্টর সুবোধ। সেই সময়ে তাঁর উপরে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। গাড়ির ভিতরেই তাঁকে হত্যা করা হয়। খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় শিখর-সহ ৩৮ জনের।