ছবি: পিটিআই।
নতুন নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে বিক্ষোভের জেরে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া-কে (পিএফআই) নিষিদ্ধ করার দাবি উঠল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজিপি ও পি সিংহ আজ জানান, পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লেখা হয়েছে।
সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভে সম্প্রতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল উত্তরপ্রদেশ। পুলিশের গুলিতে মারা যান ১৯ জন। সেই সময়ে ভাঙচুর, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস এবং আগুন লাগানোর ঘটনায় পিএফআই জড়িত বলে সে রাজ্যের গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়েছে যোগী সরকার। ডিজি আজ বলেন, ‘‘বিক্ষোভে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে সংগঠনের উত্তরপ্রদেশের প্রধান ওয়াসিম-সহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এই দাবি জানানো হয়েছে।’’ উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য বলেন, ‘‘সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে বড় আকারের ক্ষয়ক্ষতির পিছনে পিএফআই-এর হাত ছিল। এই ধরনের সংগঠনকে বাড়তে দেওয়া যায় না। এরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া বা সিমির-ই অন্য রূপ।’’ সিমির সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগের কথা আগেই অস্বীকার করেছে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে নেই ব্রডব্যান্ডও, আংশিক চালু এসএমএস, হতাশ কাশ্মীর
পশ্চিমবঙ্গেরও ১৯টি জেলায় সক্রিয় রয়েছে পিএফআই। পুলিশ সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদে নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ হয়েছিল সম্প্রতি, তাতে এই সংগঠনের সদস্যেরা সামনের সারিতেই ছিলেন। মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি মুকেশ কুমার সংগঠনের কাজ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি, মুর্শিদাবাদের গুরুদাসপুরের বাসিন্দা হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা সংবিধানকে সামনে রেখে গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করি। নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে গণআন্দোলন হয়েছে। দেশের কোথাও কেউ আমাদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কাজকর্মের প্রমাণ দিতে পারবেন না।’’
হাসিবুলের দাবি, ‘‘আমরা ওদের (বিজেপির) ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতির বিরোধিতা করছি। আমাদের সংগঠন মুসলিমদের এবং দলিতদের মতো পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পাশে বরাবর থাকে। সেই কারণে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের আক্রমণের নিশানা করেছেন।’’ সংগঠনের আর এক এক নেতা বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করা, পড়ুয়াদের বৃত্তি দেওয়া, সরকার ‘জনবিরোধী’ নীতি নিলে তার সমালোচনা করা, প্রয়োজনে আন্দোলন— আমরা এ ধরনের কাজই করি।’’