আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফের হত্যার পর পুলিশের সঙ্গে বৈঠক যোগী আদিত্যনাথের। ফাইল ছবি।
উত্তরপ্রদেশে গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফের খুনের পর পুলিশের সঙ্গে মধ্যরাতে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দীর্ঘ ক্ষণ সেই বৈঠক চলেছে। পুলিশকে সজাগ, সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন যোগী।
শনিবার রাতে জেলবন্দি আতিক এবং আশরফকে হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই সময় হাতকড়া পরা অবস্থাতেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন আতিক। আচমকা গুলি চলে। তিনি এবং তাঁর ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পুলিশের চোখের সামনেই ‘হাই প্রোফাইল’ বন্দি আতিকদের এই হত্যা প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে যোগীরাজ্যের নিরাপত্তাকে। পুলিশের দাবি, সাংবাদিক সেজে এসেছিলেন আততায়ীরা। সুযোগ বুঝে খুব কাছ থেকে আতিকদের গুলি করেন তাঁরা। তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা রাজ্যে জারি ১৪৪ ধারা। উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলায় জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন।
শনিবার রাতেই পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে নিজের বাসভবনে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী। বৈঠকে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রসচিব সঞ্জয় প্রসাদ, পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল আর কে বিশ্বকর্মা এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে পুলিশকে যোগী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের কোথাও যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সব ক্ষেত্রে যাতে শান্তি বজায় থাকে, আতিক-হত্যার পর পুলিশকে তা নিশ্চিত করতে বলেছেন যোগী।
একইসঙ্গে রাজ্যবাসীর প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনও রকম গুজবে যেন কান না দেওয়া হয়। যাঁরা গুজব ছড়াচ্ছেন, তাঁদেরও কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যোগী।
গত ফেব্রুয়ারিতে উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আতিককে গ্রেফতার করেছিল যোগীর পুলিশ। ওই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত আতিকের পুত্র আসাদ কিছু দিন আগে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন। ছেলের শেষকৃত্যে যাওয়ার অনুমতি পাননি আতিক। তার পরেই বন্দি অবস্থায় আততায়ীদের হাতে খুন হলেন তিনি এবং তাঁর ভাই।