সীতার কুকুর-যোগ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপি

যোগাসন নিয়ে মন্তব্য করে বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবারের আক্রমণের মুখে পড়লেন সীতারাম ইয়েচুরি। এমনই বিতর্ক তৈরি হল যে, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের পরের দিন সকালে টুইটারে সব চেয়ে আলোচ্য বিষয় হয়ে রইলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক! সিপিএমের প্রয়াত প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক হরকিষেণ সিংহ সুরজিতের শতবর্ষ স্মরণের এক অনুষ্ঠানে রবিবার ভুবনেশ্বরে ইয়েচুরি মন্তব্য করেছিলেন, বিভিন্ন প্রাণীই শারীরবৃত্তীয় ভাবে নানা অঙ্গ সঞ্চালন করে থাকে, যা তাদের তরতাজা রাখতে সাহায্য করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৫ ০২:৫৪
Share:

যোগাসন নিয়ে মন্তব্য করে বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবারের আক্রমণের মুখে পড়লেন সীতারাম ইয়েচুরি। এমনই বিতর্ক তৈরি হল যে, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের পরের দিন সকালে টুইটারে সব চেয়ে আলোচ্য বিষয় হয়ে রইলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক!

Advertisement

সিপিএমের প্রয়াত প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক হরকিষেণ সিংহ সুরজিতের শতবর্ষ স্মরণের এক অনুষ্ঠানে রবিবার ভুবনেশ্বরে ইয়েচুরি মন্তব্য করেছিলেন, বিভিন্ন প্রাণীই শারীরবৃত্তীয় ভাবে নানা অঙ্গ সঞ্চালন করে থাকে, যা তাদের তরতাজা রাখতে সাহায্য করে। কুকুর যে ভাবে পা ছ়়ড়িয়ে শরীর সঞ্চালন করে, তার সঙ্গে যোগাসনের মিল আছে।

তা-ই নিয়েই আজ সকাল থেকে ইয়েচুরিকে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়। বিশেষত, বিজেপি-র সমর্থকেরা ইয়েচুরি তথা সিপিএমের রাজনৈতিক অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। অনেকে কটাক্ষ করেন, এই জন্যই চিনে বৃষ্টি হলে ইয়েচুরি দিল্লিতে ছাতা খোলেন! কেউ আবার মত দেন, যে দলের লোকসভায় মাত্র ৯ জন সাংসদ, সেই দলের নেতাকে এত গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বিজেপির মঞ্চ থেকেও ইয়েচুরির মন্তব্যের সমালোচনা করা হয়।

Advertisement

ইয়েচুরি অবশ্য দাবি করেছেন, যোগাসন যাঁরা করেন, তাঁদের সঙ্গে কোনও প্রাণীর তুলনা তিনি আদৌ করেননি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমার মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। অপ্রাসঙ্গিক ভাবে একটা মন্তব্য তুলে ধরে মোদীর অনুগামী এবং আরএসএস পরিবার তাদের খেলায় নেমে পড়েছে!’’

সিপিএমের টুইটার হ্যান্ডল থেকেও সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য বিকৃতির প্রতিবাদ করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই জুড়ে দেওয়া হয়েছে দু’দিন আগে একটি ইংরেজি দৈনিকে ইয়েচুরির লেখা এই সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধও।

বস্তুত, ইয়েচুরির ব্যাখ্যা, এক যোগশিক্ষক তাঁর ক্লাসে গল্প বলতেন, বিভিন্ন প্রাণীর অঙ্গ সঞ্চালনের সঙ্গেই যোগাসনের মিল আছে। যেমন কুকুর ঘুম থেকে ওঠার পরে নিজের শরীর টানটান করে নেয়। এই গল্পই তিনি বলেছিলেন এবং তা থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ অপ্রাসঙ্গিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিকৃত করা হয়েছে বলে ইয়েচুরির দাবি।

হরকিষেণ সিংহ সুরজিতের শতবর্ষের সভায় ইয়েচুরির মূল বক্তব্য অবশ্য অন্য ছিল। মোদী সরকারের যোগ দিবস ঘিরে আয়োজনের সমালোচনা করে তিনি যুক্তি দেন, জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য যোগাসন অবশ্যই দরকার।

কিন্তু দারিদ্র ও ক্ষুধার সমস্যার মোকাবিলা আরও বেশি প্রয়োজন। ইয়েচুরির যুক্তি, ‘‘অতীতেও একনায়কেরা এই ধরনের জনসমাগম করতেন। কিন্তু এতে মূল সমস্যাগুলি থেকেই মানুষের নজর সরে যায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement