উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলপ্রদেশে ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হল দিল্লিতে। শুক্রবার বিকেলে দিল্লির ফ্লাড কন্ট্রোল রুমের তরফে জানানো হয়, বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে যমুনার জল। এমনটা যে হতে পারে, তা বৃহস্পতিবার রাতেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল আবহাওয়া দফতরের তরফে।
পার্বত্য হিমালয়ে বৃষ্টিপাত বাড়ার দরুন হরিয়ানার হাতনিকুঁদ বাঁধ থেকে এক লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছাড়া শুরু হতেই দিল্লিতে বন্যা-সতর্কতা জারি করা হয়। দিল্লি প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, বন্যাপ্রবণ অঞ্চল এবং যমুনা তীরবর্তী নিচু অঞ্চল থেকে মানুষকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ দফতরের তরফে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাঁদের নিজস্ব এলাকায় টহল বাড়ানো এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলে থাকা মানুষকে সাবধান করার জন্য বিশেষ বাহিনী নামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বন্যা মোকাবিলায় যমুনায় ৩৪টি নৌকা নামানো হয়েছে। নিচু এলাকা থেকে জল নামানোর জন্য ছোট পাম্পকে কাজে লাগানো হচ্ছে। পূর্ব দিল্লির জেলাশাসক অনিল বাঁকা এই প্রসঙ্গে বলেন, “কমবেশি ৩৭,০০০ মানুষ যমুনার নীচু ও বন্যাপ্রবণ অঞ্চলে বসবাস করেন। তাঁদের দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বন্যা উপদ্রুত এলাকার মানুষকে ফাঁকা স্কুলবাড়ির মতো কোনও পাকাপোক্ত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
দিল্লির মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে আগামী ১৪ ও ১৫ অগস্ট পর্যন্ত ভারী বর্ষণ চলবে। বৃহস্পতিবার রাতে হাতনিকুঁদ বাঁধ থেকে দু’লক্ষ কিউসেক, শুক্রবার আরও দেড় লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার পরেই যমুনার জলস্তর বাড়তে থাকে। দিল্লি প্রশাসন সূত্রের খবর, শুক্রবার বেলা ৩টে পর্যন্ত যমুনা পুরনো রেলসেতুর কাছে যমুনার জলস্তর গিয়ে ঠেকেছে ২০৫.২৯ মিটারে। জলস্তর ২০৬ মিটার ছাড়ালে নদী তীরবর্তী এলাকার সমস্ত মানুষকেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।