পিএনএস গাজি। —ফাইল চিত্র ।
১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় ভারতীয় নৌবাহিনীর আঘাতে বঙ্গোপসাগরের তলাতেই ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানি ডুবোজাহাজ পিএনএস গাজি। ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছিল সেটি। হারিয়ে যাওয়ার ৫৩ বছর পর বিশাখাপত্তনম উপকূল থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে সেই ডুবোজাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করল ভারতীয় নৌবাহিনী। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ মিটার গভীরে ধ্বংসাবশেষটি উদ্ধার হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর। সূত্র মারফত এ-ও জানা গিয়েছে যে, ডুবোজাহাজটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে যাঁদের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতে ভারতীয় নৌসেনা সেই ধ্বংসাবশেষ নিজেদের কাছে রাখতে রাজি নয়।
পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগে টেঞ্চ-শ্রেণির ডুবোজাহাজটি আমেরিকার নৌবাহিনীতে ছিল। পরে তা পাক নৌসেনার হাতে চলে যায়। ’৭১ সালের যুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাকে নাস্তানাবুদ করতে পিএনএস গাজিকে পাঠিয়েছিল পাকিস্তান। লক্ষ্য ছিল, ভারতীয় রণতরী আইএনএস বিক্রান্তকে ধ্বংস করা। ১৯৭১-এর ১৪ নভেম্বর করাচি ছাড়ে গাজি। সবার অলক্ষ্যে ৪,৮০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বিশাখাপত্তনম উপকূলে পৌঁছয় কিছু দিনের মধ্যেই।
খবর পেয়ে এর পাল্টা ডুবোজাহাজ আইএনএস রাজপুত পাঠিয়েছিল ভারত। এর পর ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর বিশাখাপত্তনমের উপকূলে পাক নৌবাহিনীর ১১ জন অফিসার এবং ৮২ জন নাবিককে নিয়ে ধ্বংস হয়ে যায় পিএনএস গাজি। যা ভারতীয় নৌসেনার বড় জয় হিসাবে দেখা হয়। ভারত জানিয়েছিল, পিএনএস গাজিকে খুঁজে বার করে তা ধ্বংস করেছিল আইএনএস রাজপুত। যদিও পাকিস্তানের দাবি ছিল, দুর্ঘটনার কারণে ধ্বংস হয়ে যায় সেটি।