পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী এসএলবিএম (সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র) কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন করল ভারত। বঙ্গোপসাগরের গভীর থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র ৩৫০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। এই কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপনের বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছুই জানায়নি ডিআরডিও। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশেষ সূত্র এই উৎক্ষেপনের খবর স্বীকার করে নিয়েছে।
ডুবোজাহাজ বা সাবমেরিন থেকে ছোড়া যায় এমন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা ভারত এক দশকেরও বেশি আগে শুরু করে দিয়েছিল। ৩৫০০ কিলোমিটার পাল্লার এই কে-৪ মিসাইল তৈরির কথা গোপনই রেকেছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ২০১৪ সালে প্রথম বার এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন হয়। উৎক্ষেপনের পরেও ভারত সরকার কে-৪ উৎক্ষেপনের কথা স্বীকার করেনি। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায় যে ২০১৪-র মার্চে যে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন হয়েছিল, সেটি কে-৪।
আরও পড়ুন:
তৈরি অরিহন্ত, পরমাণু হামলা সয়েও পাল্টা আঘাতে প্রস্তুত ভারত
২০১৪ সালে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন সফল হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু সে বার এই ক্ষেপণাস্ত্র তার পাল্লার সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য অতিকর্ম করেনি। ৩০০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করেছিল কে-৪। চলতি মাসের ৮ তারিখ কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের য়ে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন হল, তা কিন্তু এর পাল্লার পূর্ণ দৈর্ঘ্যের উৎক্ষেপন। অর্থাৎ সমুদ্রের তলা থেকে উঠে ৩৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে এ বার আঘাত হেনেছে কে-৪।
৮ মার্চ অর্থাৎ মঙ্গলবার বিশাখাপত্তনম নৌঁঘাটি থেকে কিছু দূরে, সমুদ্রের ৩০ ফুট গভীর থেকে কে-৪ নিক্ষেপ করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে নির্ভুল লক্ষ্যে নিখুঁত আঘাত হেনেছে ক্ষেপণাস্ত্রটি। হাইপারসনিক অর্থাৎ শব্দের চেয়ে বেশ কয়েক গুণ বেশি বেগে ছুটতে সক্ষম এই পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী এসএলবিএম। অর্থাৎ ডুবোজাহাজ থেকে পরমাণু হামলা চালানোর জন্য বিভিন্ন দেশের হাতে যে সব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী এবং শক্তিশালী ভারতের এই কে-৪। নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ব্যবহার করা হবে।