সাভারকর-মন্তব্য নিয়ে জোটসঙ্গী রাহুলকে সতর্ক করলেন উদ্ধব ঠাকরে। ফাইল চিত্র।
বিনায়ক দামোদর সাভারকরকে নিয়ে অবমাননাকর কোনও মন্তব্য বরদাস্ত করবে না শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে)। রবিবার এই মর্মে রাহুল গান্ধীকে সতর্ক করলেন বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধব। বিজেপির দ্বারা প্ররোচিত না হয়ে দেশের গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াইয়ে মনোনিবেশ করার জন্যও ওয়েনাড়ের সদ্য প্রাক্তন সাংসদকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। মোদী পদবী নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে সুরত আদালত রাহুলকে দু’বছরের সাজার কথা শোনায়। তার পরের দিনই সাংসদ পদ খারিজ হয় রাহুলের। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বিজেপির উদ্দেশে তোপ দেগে বলেছিলেন, “আমার নাম সাভারকর নয়, আমার নাম গান্ধী। গান্ধী কখনও কারও কাছে নতিস্বীতার করে না।” রাহুলের এই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।
রবিবার মহারাষ্ট্রের নাসিকে একটি অনুষ্ঠানে উদ্ধব জানান, সাভারকর আমাদের আদর্শ। জোট বজায় রেখে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে নামা জরুরি বলেও রাহুলকে বার্তা দেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “১৪ বছর ধরে আন্দামানের সেলুলার জেলে অকল্পনীয় অত্যাচার সহ্য করেছেন সাভারকর। আমরা তাঁর এই ত্যাগকে স্মরণে রাখতে চাই। বিজেপির প্ররোচনাতেই রাহুল সাভারকর সম্পর্কে ওই মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করেন উদ্ধব। উদ্ধব এ-ও দাবি করেন যে, এখনই ভারতের গণতন্ত্রকে রক্ষা না করা গেলে ২০২৪ সালেই দেশ শেষ বারের মতো নির্বাচন হবে।
উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন অবিভক্ত শিবসেনা বিজেপির পুরনো জোটসঙ্গী হিসাবে মহারাষ্ট্রের শেষ বিধানসভা নির্বাচনে লড়়াই করেছিল। কিন্তু নির্বাচনের পরে বেশ কিছু মতপার্থক্যের কারণে বিজেপির সঙ্গে জোট ছেড়ে, কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে জোট বাঁধে শিবসেনা। মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্ধব। ২০২২ সালের জুলাই মাসে শিবসেনার হিন্দুত্বের আদর্শের সঙ্গে আপস করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে দল ছাড়েন শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। শিন্ডের শিবিরে যোগ দেন ৪০ বিধায়ক। সংখ্যার বিচারে শিন্ডে শিবিরকেই ‘প্রকৃত’ শিবসেনা হিসাবে স্বীকৃতি দেয় নির্বাচন কমিশন। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি হারিয়েও অবশ্য কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে জোট ভাঙেননি উদ্ধব। এর আগেও এক বার রাহুলের সাভারকর-মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছিলেন উদ্ধব ঘনিষ্ঠ শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত।