প্রতীকী চিত্র।
বৃহস্পতিবার বিয়ে। তবে তার তিন দিন আগেই চিরতরে বিদায় নিল মেয়ে।
রবিবার হঠাৎই হবুকনের মনে পড়েছিল এখনও কিছু কেনাকাটা করা বাকি আছে তার। আত্মীয়দের সঙ্গে নিয়ে তাই তড়িঘড়ি গাড়ি নিয়ে রওনা হয়ে গিয়েছিল শহরে। তার পর আর বাড়ি ফেরা হল না। কেনাকাটা সেরে ফেরার পথেই খাদে পড়ে যায় তাঁদের গাড়ি। প্রায় ২৫০মিটার গভীরে পড়ে যাওয়ার পর সওয়ারিদের আর কেউই বাঁচেননি।
রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল হিমালয়ের তেহরিতে। জাতীয় সড়কের লাগোয়া তোতাঘাটি নামের একটি জায়গায় সফেদ পাহাড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দেহগুলি উদ্ধার করে উপরে জাতীয় সড়কে তুলে আনে। সেখান থেকে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া পিঙ্ক-সহ তাঁর পরিবারের পাঁচজনে দেহ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ২৫ বছরের তরুণী পিঙ্কি। তাঁর বাবার নাম ত্রিলোক সিং রানা। যদিও তিনি ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন না। এ ছাড়া ছিলেন প্রতাপ সিং নামে ৪২ বছর বয়সি এক ব্যক্তি, প্রতাপের স্ত্রী ভাগীরথী, বয়স ৩৭, প্রতাপের কন্যা ১১ বছরের কিশোরী মঞ্জু এবং বিজয় নামে ৪৫ বছর বয়সি আরেকজন। এরা প্রত্যেকেই পিঙ্কির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রতাপ সম্ভবত সম্পর্কে পিঙ্কির দাদা।
পুলিশ জানিয়েছে এঁরা প্রত্যেকেই চামোলির বান গ্রামের বাসিন্দা। আগামী ১২ মে পিঙ্কি নামে ওই তরুণীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। রবিবার বিয়ের কেনাকাটা করেই চামোলিতে ফিরছিলেন তাঁরা।