—প্রতীকী ছবি।
মুম্বইয়ের পর এ বার বেঙ্গালুরু। আর এক নৃশংস খুনের প্রমাণ পেল পুলিশ। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর সুবর্ণমুখী হিল অঞ্চলের একটি জায়গা থেকে এক মহিলার কাটা মাথা এবং হাত উদ্ধার করে পুলিশ। তার পরই খুনের মামলা রুজু করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে তারা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বেঙ্গালুরুর বানেরঘাট্টার বাসিন্দা এক বিধবা মহিলা গত কয়েক দিন ধরেই নিখোঁজ ছিলেন। স্থানীয়sরা জানিয়েছেন, বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। কাছের একটি নর্দমা থেকে ওই মহিলার দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই মহিলার মাথা এবং হাত পাওয়া যায় স্থানীয় একটি জঙ্গলে। ওই জঙ্গল থেকেই ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর ওই ৩ জন এক সময় ওই মহিলার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। দীর্ঘ দিন ভাড়া থাকার পর তাঁরা ওই মহিলাকে সম্পত্তির একাংশ লিখে দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার জন্যই ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।
গত ২ জুন পুলিশ নর্দমা থেকে দেহাংশগুলি উদ্ধার করেছিল। তদন্তে জানা যায় ওই মহিলার নাম আর গীতা। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, আদতে বিহারের বাসিন্দা ওই ভাড়াটেরা দশ জনে মিলে ওই মহিলাকে খুন করেন। সাত জন পালিয়ে গেলেও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য তিন জন এলাকায় রয়ে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে তাঁর সঙ্গিনীকে খুন করে দেহটিকে টুকরো টুকরো করার অভিযোগ উঠেছে। বালতি ভর্তি দেহাংশগুলিকে উদ্ধারও করেছে পুলিশ। এই ঘটনাগুলি অনেককেই শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। শ্রদ্ধার খুনেও তাঁর একত্রবাসের সঙ্গী আফতাব পুণাওয়ালার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল। শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহকে কয়েকটি টুকরোয় কেটে ফ্রিজারে ঢুকিয়ে রাখা এবং অল্প অল্প করে জঙ্গলে ফেলে আসার অভিযোগ ওঠে আফতাবের বিরুদ্ধে। দিল্লির ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সারা দেশে।