ঝাড়খণ্ডের গ্রামে তরুণীর চুল কাটিয়ে শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
তরুণীকে বিয়ে ভাঙার শাস্তি দিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যেরা। অভিযোগ, ওই তরুণী নিজের বিয়ের দিন বাড়ি ছেড়ে চলে যান। ফলে সমস্ত আয়োজন সত্ত্বেও বিয়ে ভেঙে যায়। এর পর বাড়ি ফিরলে তরুণীর চুল কাটিয়ে তাঁকে সারা গ্রাম ঘোরানো হয়।
ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের মেদিনীনগর এলাকার। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২০ এপ্রিল ওই তরুণীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে বর বিয়ে করতে আসেন। কিন্তু তরুণী তাঁকে মুখের উপর জানিয়ে দেন, তিনি বিয়ে করতে চান না। এর পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি।
ঘটনার ২০ দিন পর রবিবার তরুণী আবার বাড়ি ফেরেন। ওই ২০ দিন তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ফেরার পর তাঁকে বিচারের জন্য পঞ্চায়েতে হাজির করানো হয়। তরুণীর পরিবারের লোকজনও তাঁর শাস্তি চেয়েছিলেন। পঞ্চায়েতের সদস্যেরা তরুণীকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন তিনি বিয়ে ভাঙলেন, এই ২০ দিনই বা তিনি কোথায় লুকিয়ে ছিলেন? কিন্তু তিনি কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি বলে অভিযোগ। এর পরই তাঁর শাস্তির বিধান দেয় পঞ্চায়েত।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ওই তরুণীর চুল কেটে দেওয়া হয়। সেই অবস্থায় তাঁকে গোটা গ্রামে ঘোরানো হয়েছে। তার পর তরুণীকে মারধরও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত সদস্য এবং তরুণীর বৌদি-সহ আপাতত চার জনকে পুলিশ আটক করেছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।