(বাঁ দিকে) মৃতা নন্দিনী। অভিযুক্ত ভেট্রিমারান। ছবি: সংগৃহীত।
জন্মদিনেই তরুণীর চোখ বেঁধে, হাত মুড়ে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। ব্লেড দিয়ে জখমও করা হয় তাঁকে। অভিযুক্ত তাঁর ছোটবেলার বন্ধু। তরুণীকে বিয়ে করার জন্য মহিলা থেকে পুরুষ হয়েছিলেন সেই বন্ধু। সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। চেন্নাইয়ের উপকণ্ঠে কেলামবাক্কামের কাছে থালাম্বুরের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত মহিলা পেশায় ছিলেন সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। নাম আর নন্দিনী। বয়স ২৪ বছর। আদতে মাদুরাইয়ের বাসিন্দা। চেন্নাইয়ে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করতেন। সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতেন। অভিযুক্ত পাণ্ডি মাহেশ্বরী থেকে রূপান্তরিত হয়ে পুরুষ হয়েছিলেন। নাম নিয়েছিলেন ভেট্রিমারান। তাঁর বয়স ২৬ বছর। তিনি নন্দিনীর সঙ্গে মাদুরাইয়ে একটি স্কুলে পড়তেন। সেই থেকে দু’জনে বন্ধু। একই দফতরে চাকরি করতেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, নন্দিনীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ভেট্রিমারান। সে জন্য রূপান্তরিতও হয়েছিলেন। সম্প্রতি তাঁর সন্দেহ হয়, অন্য কারও প্রতি আসক্ত হয়েছেন নন্দিনী। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সে জন্য তাঁকে খুন করা হয়। শনিবার ছিল নন্দিনীর জন্মদিন। অভিযোগ, তাঁকে নিমন্ত্রণ জানান ভেট্রিমারান। নন্দিনী তাঁর বাড়িতে এলে সারপ্রাইজ় দেওয়ার নাম করে চোখ বেঁধে দেন তিনি। হাতও বেঁধে দেন। ব্লেড দিয়ে তাঁকে ক্ষতবিক্ষত করেন। এর পর গায়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেন। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়েরা দেখতে পান হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পুড়ছেন নন্দিনী। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে মৃত্যু হয় তরুণীর।