ছেলেকে কোলে নিয়ে টোটো চালাচ্ছেন চঞ্চল।
তাঁর দিন শুরু হয় টোটো চালিয়ে। শেষও হয় টোটো চালিয়েই। সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য মাঝে একটু বিরতি। আবার সাড়ে ৬ কিলোমিটার যাওয়া, সাড়ে ৬ কিলোমিটার আসা। কোলে বাঁধা এক বছরের সন্তান। আর এ ভাবেই দিন গুজরানের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এক এক মহিলা।
তিনি চঞ্চল শর্মা। উত্তরপ্রদেশের নয়ডার বাসিন্দা। একা মা। সেক্টর ৫৯ এবং ৬২-এর মধ্যে টোটো চালান তিনি। প্রতি দিন সকাল সাড়ে ৬টায় টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন চঞ্চল। তাঁর এই সফরের নিত্যদিনের সঙ্গী এক বছরের সন্তান অঙ্কুশ।
স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সন্তানকে নিয়ে মায়ের কাছে চলে আসেন চঞ্চল। মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে একটি চিলতে ঘর। চঞ্চলের মা সব্জি বিক্রি করেন। ভাই বাড়িতে থাকেন না। ফলে অঙ্কুশকে দেখাশোনা করার মতো কোনও লোক না থাকায় অগত্যা তাকে নিয়েই টোটো চালাতে হয় চঞ্চলকে।
দিনে ৬০০-৭০০ টাকা আয় হয় বলে এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন চঞ্চল। তার মধ্যে ৩০০ টাকা টোটোর কিস্তি দিতে হয় এক বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থাকে। চঞ্চল বলেন, “ছেলেকে স্নান করানোর জন্য মাঝে কিছু সময় বাড়িতে যেতে হয়। তবে সব সময় সেটা সম্ভব হয় না। তখন টোটোতেই ছেলেকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে নিই।”
তবে টোটো চালানো ছেড়ে মুদি দোকান খোলার চিন্তাভাবনা করছেন চঞ্চল। তার জন্য একটু একটু করে টাকাও জমাচ্ছেন টোটো চালিয়ে। চঞ্চল বলেন, “ছেলেকে ভাল ভাবে মানুষ করতে চাই। কিন্তু অর্থাভাবই এখন আমার বড় বাধা।” আর সেই বাধা কাটাতেই হাতে তুলে নিয়েছেন টোটো।