সন্তানদের চোখের সামনে এ ভাবেই ঢেউয়ের ধাক্কায় তলিয়ে যান জ্যোতি সোনার। — ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
ছেলে, মেয়েদের নিয়ে পিকনিক করতে গিয়ে ঘটে গেল অঘটন। ছবি তোলার নেশা কাড়ল মায়ের প্রাণ। মুম্বইয়ের বান্দ্রা ব্যান্ডস্ট্যান্ডে ঢেউয়ের ধাক্কায় তলিয়ে গেলেন ৩২ বছর বয়সি এক মহিলা। আর মহিলা যখন ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল হয়ে তলিয়ে যাচ্ছেন, সেই দৃশ্য সন্তানেরা দেখলেন দাঁড়িয়ে। চিৎকার করে ডাকলেন মাকে। কিন্তু সাড়া দিলেন না মা।
স্বামীর সঙ্গে ছেলে, মেয়েদের নিয়ে পিকনিক করতে বেরিয়েছিলেন জ্যোতি সোনার। কথা ছিল, যাবেন জুহু চৌপথিতে। কিন্তু জলোচ্ছ্বাসের কারণে সে দিন বন্ধ ছিল জুহু চৌপথি। ফলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এই খবর পাওয়ার পর পরিকল্পনা বদলান দম্পতি। ঠিক করেন, ছেলে, মেয়েকে নিয়ে বান্দ্রা যাবেন। সেই মতো তাঁরা বান্দ্রা ফোর্ট পৌঁছন। সেখানে সমুদ্রে নেমে একটি পাথরের উপর আধবসা হয়ে বিভিন্ন পোজ দিতে থাকেন দম্পতি। আর ডাঙায় দাঁড়িয়ে সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি করছিল সন্তানরা। এমন সময় ফুঁসে ওঠা সমুদ্রে একটি বিরাট ঢেউ আছড়ে পড়ে দম্পতির উপর। মুহূর্তে সব তালগোল পাকিয়ে যায়। দেখা যায়, ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল হয়ে সমুদ্রের আরও ভিতরে চলে যাচ্ছেন জ্যোতি। সেই ঘটনার দৃশ্য বলে দাবি করা একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ঢেউয়ের ধাক্কায় তলিয়ে যাচ্ছেন জ্যোতি, আর ডাঙায় দাঁড়িয়ে মা-মা হলে তারস্বরে চিৎকার করছে বাচ্চারা। কিন্তু আর মায়ের দেখা পায়নি সন্তানেরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক জন জ্যোতির স্বামীকে পা ধরে বাঁচিয়ে দেন। কিন্তু জ্যোতির কোনও খোঁজ মেলেনি। পরে ডুবুরি নামিয়ে খোঁজা হয়। উদ্ধার হয় জ্যোতির প্রাণহীন দেহ। ওই সময় অকুস্থলে উপস্থিত মুকেশ নামে এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, তিনি শেষ মুহূর্তে জ্যোতির শাড়ি ধরে ফেলেছিলেন। কিন্তু বেশি ক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি। তার পরেই জ্যোতির আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত তাঁর দেহ উদ্ধার করেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডুবুরিরা।