বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া। মায়ের দেহ দশ দিন ধরে আগলে রাখলেন মেয়ে। পরে বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লখনউয়ের ইন্দিরা নগরের ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার মেয়ের নাম অঙ্কিতা দীক্ষিত। কয়েক দিন ধরেই মা-মেয়েকে বাড়ির বাইরে দেখতে পাননি প্রতিবেশীরা। তাঁদের একটু সন্দেহ হয়। শুক্রবার সেই সন্দেহ আরও গাঢ় হয় যখন ওই বাড়ি থেকে কটু গন্ধ পান এক পড়শি। তিনি পাড়ার লোকদের বিষয়টি জানান। এর পরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ এসে দেখে ভিতর থেকে ঘর বন্ধ রয়েছে। অনেক ডাকাডাকি করার পর ভিতরে থাকা তরুণী যখন দরজা খুলতে অস্বীকার করেন, তখন কাঠমিস্ত্রি এনে দরজা ভাঙে পুলিশ। দরজা ভাঙতেই পচা গন্ধ বেরিয়ে আসে। পুলিশ দেখে যে, একটি ঘরে জানলা বন্ধ করে বসে আছেন বছর ছাব্বিশের এক তরুণী। তার ঠিক পাশের ঘর থেকেই পচা গন্ধ আসছে। সেই ঘরে ঢুকতেই তারা দেখে এক বৃদ্ধার পচাগলা দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুনীতা দীক্ষিত। তিনি হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (হ্যাল)-এর অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। সুনীতা ক্যানসারে ভুগছিলেন। বছর দশেক আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তাঁর। বৃদ্ধার মৃত্যু কী ভাবে হল তা খতিয়ে দখেছে পুলিশ। তরুণীকেও উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেনই বা তিনি মায়ের মৃত্যুর কথা পড়শিদের জানাননি তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের জুন মাসে প্রায় একই ধরনের কাণ্ড দেখা গিয়েছিল মধ্য কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে। দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধ বাবা এবং বোনের দেহ আগলে বসেছিলেন পার্থ দে নামে এক ব্যক্তি।