ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় পুড়িয়ে মারার চেষ্টা তরুণীকে। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় এ বার বিহারে এক তরুণীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় নির্যাতিতার শরীরের ৫০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি।
শনিবার বিহারের মুজফ্ফরপুরে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। অহিয়াপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অহিয়াপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিকাশ রাই জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় বছর তেইশের ওই যুবতী বাড়িতে একাই ছিলেন। সেই সুযোগে প্রতিবেশী ওই যুবক বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করতে যান বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা বাধা দিতে গেলে অভিযুক্ত তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: বিরোধিতার মধ্যেই ধ্বনি ভোটে লোকসভায় পাশ হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল
আরও পড়ুন: কর্নাটকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখছে বিজেপি, হালে পানি পেল না কংগ্রেস-জেডিএস
ওই তরুণীর মা স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত। ঘটনার সময় সেখানেই ছিলেন তিনি। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরে আসেন। তার পর মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন। এই মুহূর্তে সেখানেই ভর্তি রয়েছেন নির্যাতিতা।
হায়দরাবাদ এবং উন্নাওয়ের ঘটনা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে গোটা দেশ যখন উত্তাল, তার মধ্যে বিহার থেকে এই নিয়ে চতুর্থ বার এই ধরনের ঘটনা সামনে এল। এর আগে, গত শনিবার বক্সার এবং সমস্তিপুর থেকে দুই মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণের পর তাঁদের পুড়িয়ে মারা হয় বলে সন্দেহ পুলিশের। এই অহিয়াপুর থানা এলাকাতেই গত শুক্রবার আট বছরের বালিকার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। তাকেও যৌন নির্যাতনের পর পুড়িয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ।