গিরিজাম্মা গাদায়া।
মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর পারলৌকিক সংস্কারও সেরে ফেলেছিলেন ছেলে। কিন্তু তার পর দিনই বৃদ্ধা বাড়িতে এসে হাজির হওয়ায় আঁতকে ওঠেন ছেলে এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা। এটা কী করে সম্ভব! ঠিক দেখছেন তো তাঁরা! খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায়।
ঠিক কী ভাবে ঘটল?
কোভিডে আক্রান্ত হয়ে গত ১২ মে বিজয়ওডয়াড়ার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গিরিজাম্মা গাদায়া। তাঁর স্বামী প্রতি দিনই হাসপাতালে দেখতে যেতেন। গত ১৫ মে হাসপাতালে যান গাদায়ার স্বামী। কোভিড ওয়ার্ডে গিয়ে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এ ওয়ার্ড, ও ওয়ার্ড ঘুরেও যখন খুঁজে পাচ্ছিলেন না, হাসপাতালের এক নার্স তাঁকে ‘দুঃসংবাদ’টা দেন। দাবি, ওই ব্যক্তিকে বলা হয় তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এমনকি মর্গ থেকে প্লাস্টিকে মোড়ানো দেহও তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিষণ্ণ মনে, ভারাক্রান্ত দেহে ওই ব্যক্তি ‘স্ত্রীর’ দেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন। ওই দিনই গিরিজাম্মার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। ২৩ মে ওই পরিবারের ছোট ছেলে রমেশের মৃত্যু হয় কোভিডে। গত ১ জুন মা ও ছেলের পারলৌকিক ক্রিয়া পালন করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু আচমকাই ২ জুন বাড়িতে এসে হাজির হন গিরিজাম্মা। সকলের চোখ তখন কপালে ওঠার মতো অবস্থা।
তার পরই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রশ্ন জাগে তা হলে কার দেহ কবরস্থ করলেন তাঁরা? এক সদস্য জানান, দেহ পুরো মোড়ানো ছিল। কোভিড সংক্রমণের ভয়ে সেটা খুলে আর দেখা হয়নি। তড়িঘড়ি কবর দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।