প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণ দিল্লির অভিজাত রেস্তরাঁয় তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, কারণ তিনি দেশীয় পোশাক পরে গিয়েছিলেন! দিন কয়েক আগে এই অভিজ্ঞতাই হয়েছে গুরুগ্রামের পাথওয়েজ় সিনিয়র স্কুলের অধ্যক্ষা, বঙ্গতনয়া সঙ্গীতা নাগের। ঘটনাটির ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন।
১০ তারিখ সঙ্গীতা তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে ভিডিয়োটি পোস্ট করেন। হরিয়ানার আদমপুরের বিধায়ক কুলদীপ বিশনোইকে ট্যাগ করেন তিনি। সঙ্গীতা লেখেন, ওই দিন সন্ধের ঘটনা। বসন্ত কুঞ্জ এলাকার ‘কাইলিন অ্যান্ড আইভি’ নামে একটি রেস্তরাঁয় ভারতীয় পোশাক পরে যান তিনি। তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রেস্তরাঁর কর্মীকে ভিডিয়োতে বলতেও শোনা যায়, ‘‘এখানে এথনিক পোশাকে আসা যায় না।’’ সঙ্গীতা লেখেন, ‘‘ভারতীয় রেস্তরাঁয় ভারতীয় পোশাক চলবে না! কিন্তু স্মার্ট ক্যাজ়ুয়াল চলবে! ভারতীয় বলে গর্ব তা হলে কোথায় গেল?’’ কংগ্রেস নেত্রী শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় টুইটটি শেয়ার করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ও প্রধানমন্ত্রীর অফিসকেও ট্যাগ করে দেন।
গত চার দিনে এক লক্ষ ৬৯ হাজার ‘ভিউ’ পেয়েছে এই টুইট। রেস্তরাঁর কর্ণধার সৌরভ খানিজো ১১ তারিখই ক্ষমা চেয়ে বলেন, এ ঘটনায় তিনি অত্যন্ত বিব্রত। তাঁর রেস্তরাঁ এমন নীতি নিয়ে চলে না। ওই কর্মী যা বলেছেন, সে তাঁর নিজস্ব মতামত। উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। কিছু দিন আগে কলকাতার এক মলে ধুতি পরার দায়ে এক চিত্রপরিচালককে আটকানোর ঘটনাতেও একই রকম হইচই হয়েছিল।