প্রতীকী ছবি।
৩২ বছরের এক মহিলাকে রাতের অন্ধকারে গণধর্ষণের পর রাস্তায় ফেলে দিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। ত্রিপুরার আগরতলা থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে এই ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে সন্তানের চিকিৎসার জন্য আগরতলার গোবিন্দবল্লভ পন্থ হাসপাতালে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। ফেরার পথে তিনি একটি অটোয় ওঠেন। কিন্তু, অটো চালক তাঁকে ভুল পথে নিয়ে চলে যায়। রাস্তায় আরও আট জন ওই অটোয় ওঠে। এর প্রতিবাদ করায় ওই মহিলা গলা টিপে ধরা হয়। অভিযোগ, আগরতলা শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে নরসিংহগড় এলাকায় ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়। রাত সাড়ে ১১ নাগাদ তাঁকে আগরতলা শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে ফেলে চলে যায় দুষ্কৃতীরা।
বুধবার ভোর বেলা অচৈতন্য অবস্থায় ওই মহিলাকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় অপহরণ, গণধর্ষণ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই কাণ্ডে অভিযুক্ত ন’জনের মধ্যে ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নারদ-কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার, সোমবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জা
মহিলার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অটোচালক তাঁর পরিচিত। ঘটনার পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা মহিলার স্বামী। তাঁর দাবি, অভিযোগ নিয়ে গড়িমসি করেছে পুলিশ। এফআইআর দায়ের করতে তাঁকে তিনটি থানায় দৌড়ে বেড়াতে হয়। তবে এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: টালা সেতু ‘অতি দুর্বল’, পুজোর আগেই বাস চলাচল বন্ধের সুপারিশ, কাল সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী
এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত সাজার দাবি করেছে মহিলা সংগঠনগুলি। নারী নিরাপত্তার বিষয়টিকে সামনে রেখে ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকারকে বিঁধতে শুরু করেছে বিরোধীরাও। ঘটনাচক্রে সেই সময় রাজ্যের বাইরে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। রাজ্য পুলিশের ডিজির থেকে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নেন তিনি। এর আগে গত অগস্ট মাসেই আগরতলার শহরতলি এলাকায় এক মহিলাকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।