Suicide

পুত্রের জন্ম দিতে পারেননি বলে কটাক্ষ স্বামীর! তিন কন্যাকে ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে চরম পদক্ষেপ বধূর

স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক অরুণ শর্মা জানিয়েছেন, সোমবার নিজের ভাই এবং ননদকে মেসেজ করেন ওই তরুণী। স্বামীর হাতে হেনস্থার কথা জানান। তার পরেই চরম পদক্ষেপ করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪ ১৫:১৬
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

তিন কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সে জন্য নিত্য দিন খোটা দিতেন স্বামী! সহ্য করতে না পেরে তিন কন্যা সন্তানকে ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে আত্মঘাতী ২৮ বছরের তরুণী। তিন কন্যার বয়স এক থেকে পাঁচ বছর। দুই কন্যার মৃত্যু হয়েছে। তৃতীয় জনকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার অবস্থা স্থিতিশীল। মধ্যপ্রদেশের ভোপালের ঘটনা।

Advertisement

স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক অরুণ শর্মা জানিয়েছেন, সোমবার নিজের ভাই এবং ননদকে মেসেজ করেন ওই তরুণী। স্বামীর হাতে হেনস্থার কথা জানান। তার পরেই চরম পদক্ষেপ করেন। পুলিশ অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নেমেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে এফআইআর দায়ের করা হবে। শর্মা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। শর্মার কথায়, ‘‘গত পাঁচ বছরে তিন কন্যার জন্ম দিয়েছেন তরুণী। তাঁর স্বামী পুত্রসন্তান চাইতেন। সোমবার রাতে এই নিয়ে বিবাদ হয় তাঁদের। রাত ১২টা ২৪ মিনিট থেকে ১২টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত পাঁচ বার ফোন করেন তরুণী। জানান, তাঁর স্বামী তাঁকে হেনস্থা করছেন। তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’

তরুণীর ভাই জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে মেসেজগুলি দেখেছেন তিনি। তার পর বোনকে ফোন করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘‘ও ফোন তোলেনি। আমি ওঁর স্বামীকে ফোন করি। তিনি বলেন, সব ঠিকঠাক রয়েছে। আমার সন্দেহ হয়। আমি আমার এক আত্মীয়াকে ফোন করি, যিনি পাশের গ্রামে থাকেন। ওই আত্মীয়া বোনের বাড়িতে গিয়ে তিন জনের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। আমি গিয়ে থানায় খবর দিই।’’

Advertisement

তরুণীর স্বামী দাবি করেছেন, পুত্র সন্তানের জন্ম দিতে পারছিলেন না বলে অবসাদে ভুগছিলেন। কিছু অসুস্থতাও ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘সন্তানধারণ করতে চেয়েও পারছিলেন না আমার স্ত্রী। পুত্র সন্তান চাইছিলেন। তাই আত্মঘাতী হয়েছেন।’’ ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট মিলেছে। মৃত তরুণীই সেটি লিখেছেন কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement