—প্রতীকী চিত্র।
স্বামীকে খুন করে বাড়ির উঠোনেই তাঁর দেহ পুঁতে দিলেন তরুণী। তাঁর মা এই কাজে তাঁকে সহায়তাও করলেন। শুক্রবার দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উঠোনের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে যুবকের দেহ। তিন সপ্তাহ আগে দেহটি পোঁতা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ওড়িশার নয়াগড় জেলার। মৃতের নাম প্রকাশ নায়েক (৩৭)। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন। সাংসারিক অশান্তির কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। শুক্রবার সকালে পুলিশ ওই যুবকের স্ত্রী জ্যোৎস্না রানি প্রধান এবং তাঁর মা দুমুনি প্রধানকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের পর স্ত্রীর বাড়িতেই থাকতেন প্রকাশ। গত কয়েক দিন ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে প্রকাশের বাবা খোঁজ নিতে বৌমার বাড়িতে যান। সেখানে কোনও সদুত্তর না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জানা যায়, দম্পতির সম্পর্ক খুব একটা ভাল ছিল না। প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হত। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নেন তরুণী এবং তাঁর মা। জানান, গত ২৩ জানুয়ারি যুবককে তাঁরা খুন করেছেন। ঘুমন্ত অবস্থায় যুবকের মাথা থেঁতলে দিয়েছিলেন স্ত্রী। তার পর দু’জন মিলে দেহটি উঠোনে পুঁতে দেন।
দম্পতির তিন বছর বয়সি পুত্র এবং পাঁচ বছর বয়সি কন্যা রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের জন্য কোনও অনুশোচনা নেই ধৃতদের। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।