—প্রতীকী ছবি।
প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে স্বামীকে খুন! তার পর স্বামীর দেহ রাস্তার ধারে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের কানপুরে রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহ। গ্রেফতার হলেন সেই মহিলা, তাঁর ‘প্রেমিক’ এবং আরও দু’জন। ওই ব্যক্তি মৃতের বন্ধু ছিলেন।
১৭ অগস্ট কানপুরের রাস্তার ধার থেকে ওই দেহ উদ্ধার করে। মৃতের গলা কাটা ছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মৃতের নাম সোহিত জোশি। তিনি পেশায় অটো চালক। ২০১৪ সালে পকসো আইনে অভিযুক্ত হয়ে জেলে গিয়েছিলেন সোহিত। সেখানে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অভিযুক্ত কানাইয়ার। তিনিও সে সময় জেলে ছিলেন।
জেল থেকে সোহিত ছাড়া পাওয়ার পরেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কানাইয়ার। প্রায়ই সোহিতের বাড়িতে আসতেন তিনি। তখনই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে সোহিতের স্ত্রী প্রতিমার সঙ্গে। কানাইয়ার সঙ্গে স্বামীকে খুনের ছক কষেন প্রতিমা। এই ঘটনায় কানাইয়া নিজের দুই বন্ধু অভিনব তিওয়ারি এবং নন্দুর সাহায্য নেন। এই অভিনবর সঙ্গে আগে থেকেই পরকিচয় ছিল সোহিতের। ঘটনার দিন সোহিতকে হাসপাতালে যেতে হবে বলে ডেকে নিয়ে যান অভিনব। মাঝপথে কানাইয়া গলা কেটে খুন করেন সোহিতের। সঙ্গে ছিলেন প্রদীপও। এর পর তিন জন সোহিতের দেহে ফেলে পালিয়ে যান। প্রতিমা-সহ চার জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।