Murder Case

স্বামী ‘কালো’, ‘কুৎসিত’, গায়ে আগুন দিয়ে খুন স্ত্রীর! যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত

অভিযুক্ত মহিলাকে ঘটনার চার বছর পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্বামীর গায়ে আগুন ধরিয়ে খুন করেছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

লখনউ শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:২১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

স্বামীর গায়ের রং ‘কালো’, তিনি ‘কুৎসিত’। তাঁকে সহ্য করতে পারতেন না তরুণী। সেই কারণেই স্বামীর গায়ে তিনি আগুন দিয়ে দেন বলে অভিযোগ। খুনের চার বছর পর সাজা পেলেন তরুণী। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

টাইমস্ অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার নাম প্রেমশ্রী। তিনি উত্তরপ্রদেশের সম্বলের বাসিন্দা। ২০১৭ সালে সত্যবীরের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ২০১৯ সালে সারা দেহে পোড়া ক্ষত নিয়ে মৃত্যু হয় সত্যবীরের। মৃত্যুর আগে পুলিশকে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর রূপ, গায়ের রং স্ত্রীয়ের পছন্দ নয়। সেই কারণেই তিনি তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।

পুলিশ তদন্তের পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ দিন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর দোষী সাব্যস্ত হন তরুণী। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল সত্যবীর যখন ঘুমোচ্ছিলেন, সেই সময় তাঁর গায়ে পেট্রল ঢেলে দেন স্ত্রী। তার পর আগুন ধরিয়ে দেন। হাসপাতালে কয়েক ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছিলেন যুবক। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement

তরুণীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের ভাই হরবীর। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২১ সালে এই মামলার চার্জশিট তৈরি করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালে শুয়ে সত্যবীর তদন্তকারীদের সামনে বলেছিলেন, ‘‘আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে এক দিন আগেই ওর বাপের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ওর বাবা, মা আমাকে জানান, ওর আমাকে একেবারেই পছন্দ নয়, আমার সঙ্গে ও থাকতে চায় না। এর পর বাড়ি ফিরে আমি আমার ঘরে শুয়েছিলাম। পরের দিন সকালে আমার স্ত্রী আমার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement