চলতি বছর চন্দ্রপুর জেলায় বাঘের হামলায় প্রাণ গিয়েছে ৫০ জনের। ছবি: প্রতীকী
আবারও ‘মানুষখেকো’র হামলায় প্রাণ গেল মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরে। বুধবার জোড়া মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঘের হামলায় মৃত এক মহিলা। চলতি বছর এই জেলায় বাঘের হামলায় প্রাণ গিয়েছে ৫০ জনের। ৪৪ জনকে মেরেছে বাঘ। বাকি ছ’জনকে মেরেছে চিতাবাঘ।
জঙ্গলের মুখ্য সংরক্ষক প্রকাশ লঙ্কার জানিয়েছেন, মৃতার নাম স্বরূপা তেলেতিওয়ার। বয়স ৫০ বছর। বৃহস্পতিবার সাওলি রেঞ্জের খাড়ি গ্রামে ক্ষেতে তুলো তুলছিলেন তিনি। সে সময়ই হামলা করে বাঘটি। ছিঁড়ে খায় ওই মহিলাকে।
বুধবার এই চন্দ্রপুরেই তাড়োবা-অন্ধেরী ব্যাঘ্রপ্রকল্প লাগোয়া এলাকায় বাঘের জোড়া হামলায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও মহারাষ্ট্র বন দফতর একে ‘মানুষখেকো বাঘের হামলা’ বলে চিহ্নিত করেনি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার ভোরে সাওলি ব্লকের রুদ্রপুর গ্রামের ক্ষেতে কাজ করছিলেন ১ বৃদ্ধ। তখনই ১টি বাঘ হামলা করে বলে জানা গিয়েছে। দ্বিতীয় ঘটনাটি কিছু দূরে কাঁটাপেঠ গ্রামের। সেখানে বাঘের হামলায় মৃত্যু হয়েছে ১ পশুপালকের।
৪ বছর আগে মহারাষ্ট্রের যবতমল জেলায় এ ভাবেই এক ‘মানুষখেকো’ বাঘিনীর হামলায় প্রাণ গিয়েছিল বহু মানুষের। ২ বছরে সে শিকার করেছিল প্রায় তেরো জনকে। বাঘিনীর নাম ছিল অবনী। সাঙ্কেতিক নাম ছিল টি-১। তাকে ‘মানুষখেকো’ ঘোষণা করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট ছাড়পত্র দেওয়ায় ২০১৮ সালের নভেম্বরে গুলি করে মারা হয় সেই বাঘিনীকে।