—প্রতীকী ছবি।
মা-ই পারেন! মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে শিয়ালের গলা টিপে ধরলেন। তার পর তার মুখ থেকে ছিনিয়ে আনলেন পাঁচ বছরের পুত্র সন্তানকে। শিশুটি এখন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচের ঘটনা। তরুণী জানালেন, আর সেই শিয়াল ফিরে এলে মেরেই ফেলবেন।
শিশুটির নাম পারস কুমার। বাহরাইচের হার্ডি এলাকায় তার বাড়ি। রবিবার ভোরে বাড়ির উঠোনে মা গুড়িয়া কুমারের সঙ্গে চারপাইয়ে শুয়েছিল সে। তখনও আকাশ অন্ধকার। হঠাৎই একটা গোঙানির শব্দে ঘুম ভেঙে যায় গুড়িয়ার। অন্ধকারের কারণে প্রথমে কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না তিনি। চোখ কচলে দেখেন, পুত্রের ঘাড় কামড়ে নিয়ে যাচ্ছে শিয়াল। দেখে শিয়ালের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। শক্ত করে গলা জড়িয়ে ধরেন শিয়ালের। এর পর ক্রমেই চাপ বৃদ্ধি করতে থাকেন। অগত্যা শিশুটিকে মুখ থেকে ফেলে পালায় শিয়াল।
পারসের গলা কামড়ে ধরেছিল শিয়ালটি। সে কারণে তার গলায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। সন্তানকে বাঁচানোর পর গুড়িয়া বলেন, ‘ এ বার এলে মেরেই ফেলব।’’
যদিও পারসের মতো ‘ভাগ্যবান’ নয় দু’বছরের অঞ্জলি। সোমবার ভোরে মায়ের সঙ্গে বাড়ির উঠোনে ঘুমিয়ে ছিল সে। শিয়াল এসে টেনে নিয়ে গিয়েছে। আর খোঁজ মেলেনি। গত ৫০ দিনে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচে আট জনকে মেরেছে শিয়াল। তার মধ্যে সাতটি শিশু এবং এক জন মহিলা। উত্তরপ্রদেশের বন দফতর দাবি করেছে, মূলত ছ’টি শিয়াল লোক মারছে। তাদের মধ্যে চারটিকে ধরেছে তারা। বাকি দু’টি এখনও অধরা। সোমবার এই নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বাকি দু’টি শিয়ালকে ধরার জন্য সব রকম পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।