প্রতীকী ছবি।
অভিযোগ করছিলেন বেশ কিছু দিন ধরেই। কিন্তু, পরিবারের বধূর কথা মেনে শৌচাগার তৈরির বিষয়টি কানে তোলেননি কেউই। অবশেষে দাবি মেটাতে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তিনি। আর তাতেই মিলল সমাধান।
সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের হারদা জেলায়। পুলিশ সূত্রে খবর, যৌথ পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১৭। অথচ, শৌচাগারের সংখ্যা মাত্র একটি! যা নিয়ে বহু দিন ধরে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন তিনি।
গত মাসে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। সে সময় শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তোলের ওই মহিলা। পুলিশে অভিযোগও করেন তিনি। সেই মতো তদন্ত শুরু হয়। তখনই সামনে আসে শৌচাগার না থাকার প্রসঙ্গটি।
আরও পড়ুন:
মহিলা কমিশন সদস্যকে বিবস্ত্র করে ঘোরাল বেআইনি মদ ব্যবসায়ীরা
যাত্রীর চাপ, নতুন টার্মিনাল পটনায়
হারদা থানার ইন-চার্জ পঙ্কজ ত্যাগী জানিয়েছেন, বছর দুয়েক আগে বিয়ের হয় মহিলার। শ্বশুর বাড়িতে আসার পর থেকেই তিনি দ্বিতীয় শৌচাগার নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। মহিলার দাবি ছিল, ১৬ জনের সঙ্গে একটি শৌচাগার ভাগ করে নিতে তাঁর যথেষ্ট সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু, তাঁর কথায় গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
মহিলার অভিযোগ পাওয়ার পরই তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে শৌচাগারের বিষয়টি নিয়ে কথা বলে পুলিশ। সেই মতো বাড়িতে দ্বিতীয় শৌচাগার নির্মাণে রাজিও হয় তাঁরা। এমনকী, শৌচাগার নির্মাণে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয় পুলিশের তরফে।
শৌচাগার তৈরি হওয়ায় খুশি ওই মহিলা এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজনও। মহিলার শ্বাশুড়ির কথায়, ‘‘শৌচাগার নিয়ে সমস্যার সমাধান হওয়ায় আমরা সবাই খুশি।