Rape and Murder

ধর্ষণের পর বাংলাদেশি মহিলাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে খুন! পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হল মাথাও

গত ছ’বছর ধরে বেঙ্গালুরুতে থাকছিলেন বাংলাদেশি ওই মহিলা। বেআইনি ভাবে তিনি সীমান্ত পেরিয়েছিলেন বলে পুলিশের অনুমান। শুক্রবার তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে লেকের ধার থেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৫৮
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বাংলাদেশি মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ বেঙ্গালুরুতে। ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে পুলিশের অনুমান। খুনের পর থেঁতলে দেওয়া হয় তাঁর মাথাও। ধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়নি।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার বয়স ২৮ বছর। গত ছ’বছর ধরে তিনি বেঙ্গালুরুতে থাকছিলেন। বিভিন্ন বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। তাঁর স্বামী এবং তিন সন্তান রয়েছে। পাসপোর্ট ছাড়া বেআইনি ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকেছিলেন বলে অভিযোগ। শুক্রবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয় একটি লেকের ধার থেকে।

বেঙ্গালুরু পূর্বের ডিসিপি ডি দেবরাজা বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, ওড়না গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মহিলাকে খুন করা হয়েছে। তাঁকে যৌন নির্যাতনও করা হয়েছে। আমরা ধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করেছি। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

Advertisement

মৃতের স্বামীর বয়ান অনুযায়ী, অন্যান্য দিনের মতোই বৃহস্পতিবার মহিলা কাজ করতে গিয়েছিলেন। দুপুর নাগাদ ফেরার সময়েও এলাকার অন্য পরিচারিকারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। পরে তিনি একটি কাজের কথা বলে অন্যত্র চলে যান। স্বামীকে ফোন করে আধ ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফেরার কথাও জানিয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু সন্ধ্যার পরেও তিনি ফেরেননি। এর পর তাঁর স্বামী অনুসন্ধান শুরু করেন। মহিলাকে না-পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন।

শুক্রবার সকালে লেকের ধার থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়। স্বামী তাঁকে শনাক্তও করেন। তাঁর দেহের পাশে ব্যাগ, চুড়িদার, হাওয়াই চটি এবং মোবাইল ফোন ছিল। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, পাথরটিকে ভাল করে তুলতে পারেননি অভিযুক্ত। তাই মহিলার মুখ পুরোপুরি বিকৃত হয়ে যায়নি। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তদন্তকারীদের অনুমান, পূর্বপরিচিত কারও সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মহিলা। তাঁকে খুন করার পর তাঁর ব্যাগ থেকে নগদ টাকা নিয়ে পালান অভিযুক্ত।

যে বাড়িতে ওই মহিলা কাজ করতেন, সেখান থেকে এক কিলোমিটার দূরে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement