—প্রতীকী চিত্র।
মেঘালয়ে সরকারি হাসপাতালের শৌচালয়ে সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা। প্রসবের কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হয় সদ্যোজাতের। শনিবার সন্ধ্যার ওই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে সোমবার। মেঘালয়ের রিভই জেলার নংপো সরকারি হাসপাতালের ওই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মেঘালয়ের নাগরিক সমাজ। ‘হায়নিউট্রেপ ইন্টিগ্রেটেড টেরিটোরিয়াল অর্গানাইজ়েশন’ (হিটো) এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের জবাবদিহির দাবি তুলেছে মেঘালয়ের ওই সংগঠন। যদিও প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত মেঘালয়ের স্বাস্থ্য দফতর থেকে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
মোনালিসা লঙ্গি নামে ওই মহিলা উমদেনের বাসিন্দা। শনিবার ভোরে প্রসব যন্ত্রণা অনুভব করায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল উমদেন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে তাঁকে সেখান থেকে নংপো হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সকালেই তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। ছিলেন প্রসূতি বিভাগে। প্রাথমিক চিকিৎসাও হয়েছিল। মহিলার স্বামী রিচার্ড রিমপেট জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় মোনালিসা আবারও প্রসব যন্ত্রণা অনুভব করছিলেন। তখন হাসপাতালের নার্স তাঁকে ব্যথা উপশমের ওষুধ দিয়েছিলেন। তবে তাতে বিশেষ কাজ হয়নি। এর পর সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ওই মহিলা প্রসব যন্ত্রণা নিয়েই হাসপাতালের শৌচালয়ে যান এবং সেখানেই সন্তানের জন্ম দেন তিনি। প্রসবের কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হয় সদ্যোজাতের।
উল্লেখ্য, মেঘালয়ের ওই হাসপাতালের রোগী পরিষেবা নিয়ে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। জেলায় যাঁদের আর্থিক স্বচ্ছলতা রয়েছে, তাঁদের একটি বড় অংশের মানুষ চিকিৎসার প্রয়োজনে শিলং বা গুয়াহাটির কোনও হাসপাতালকেই বেছে নেন। এরই মধ্যে শনিবার রাতের ওই ঘটনায় নতুন করে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তীব্র প্রসব যন্ত্রণার কথা নার্সকে জানালেও কেন ব্যথা উপশমের ওষুধ দিয়ে তাঁকে ফেলে রাখা হয়েছিল, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। যদিও সরকারের তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।