সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে সুনীতা দেবী। —নিজস্ব চিত্র।
আগরতলা থেকে কলকাতাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে আজ জন্ম হল এক কন্যার। চিকিৎসক এসে পৌঁছনোর আগেই। তবে যাত্রা থামেনি। পথে বিভিন্ন স্টেশনে মা ও শিশুকে পরীক্ষা করেছেন চিকিৎসকেরা। যাত্রীরা বলছেন, কাঞ্চনজঙ্ঘায় জন্ম ও জীবনের প্রথম ট্রেন সফর। এই মেয়ের নাম রাখা হোক কাঞ্চনমালা। বাবা-মা সিদ্ধান্ত নেননি এখনও।
আরপিএফ সাব-ইনস্পেক্টর লক্ষ্মণ দেববর্মা জানাচ্ছেন, শনিবার ১৩১৭৪ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে সাধারণ কামরায় রাজ বাবু ও তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী সুনিতা দেবী মালদহ যাচ্ছিলেন। ধর্মনগর স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়াতেই কয়েক জন যাত্রী আরপিএফ জওয়ানদের দেখে খবর দেন, এক জন গর্ভবতী মহিলা প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। হাবিলদার প্রণব রায়কে দিয়ে রেলওয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক অনুপমা দেববর্মার কাছে খবর পাঠানো হয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন। যদিও তার আগেই প্রসব হয়ে যায়। চিকিৎসক মা ও সন্তানের পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, দু’জনেই সুস্থ।
পরবর্তী চিকিৎসার জন্য ধর্মনগর রেল হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু মহিলা ও তাঁর স্বামী রাজি হননি। তাঁরা সেই ট্রেনেই তাঁরা মালদহের উদ্দেশে রওনা দেন। মা ও সদ্যোজাতের শারীরিক অবস্থায় যাতে কোনও প্রভাব না-পরে সে দিকে খেয়াল রাখা হয় পথেও। করিমগঞ্জ ও বদরপুর স্টেশনে মা ও শিশুকে পরীক্ষা করেন চিকিৎসকেরা। মালদহ পর্যন্ত বিভিন্ন বড় রেল স্টেশনে চিকিৎসকদের প্রস্তুত থাকার জন্য বার্তা পাঠানো হয়। তাঁদের খাবার ও ওষুধের বন্দোবস্তও করে আরপিএফ।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ধৃত ৪ প্রতারক, নিয়ে গেল ত্রিপুরা পুলিশ
লক্ষ্মণবাবু জানালেন, ট্রেনের যাত্রীরা সবাই মিলে অভিভাবকের কাছে আবেদন জানান, কাঞ্চনজঙ্ঘার ট্রেনে জন্ম। প্রথম ট্রেনসফরও সেই ট্রেনে। তাই মেয়ের নাম যেন কাঞ্চনমালা রাখা হয়। রাজু-সুনীতারা গন্তব্য পৌঁছে সিদ্ধান্ত নেবেন।