—প্রতীকী চিত্র।
নিজের গণধর্ষণের মিথ্যা মামলা সাজালেন বিবাহিত তরুণী। প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজের শ্বশুরবাড়ি থেকেই টাকাপয়সা, গয়নাগাটি লুট করে নিলেন। পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিনয় করে পার পেয়ে যাবেন বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু লাভ হল না। পুলিশি জেরার মুখে অপরাধের কথা স্বীকার করতে তিনি বাধ্য হলেন। তাঁকে এবং তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বিজনোর শহরের। পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার ওই তরুণী এবং তাঁর স্বামী ছ’জন অচেনা দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে ডাকাতি এবং গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে।
তরুণীর অভিযোগ ছিল, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি যখন বাড়িতে একা ছিলেন, দুষ্কৃতীরা ছাদ থেকে বাড়িতে ঢোকে টাকাপয়সা, গয়নাগাটি কেড়ে নেয়। নগদ ১০ লক্ষ টাকা এবং গয়না নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তরুণী আরও জানান, তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। সিগারেটের ছ্যাঁকাও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
তদন্তে নেমে পুলিশ সম্ভাব্য দিকগুলি খতিয়ে দেখে। তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর বয়ানে কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়লে ক্রমে সত্যি প্রকাশ্যে আসে। তরুণী জেরার মুখে নিজেই স্বীকার করেছেন, তিনি শ্বশুরবাড়ির টাকা হাতানোর জন্য এই পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁর প্রেমিককে ওই টাকা তিনি দিয়েছেন। ধার শোধ করার জন্য যা প্রয়োজন ছিল যুবকের। দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।