সোমবার সকালে রামাইয়ার মা যখন তাঁকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে যান, তখন তিনি দেখেন সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তাঁর মেয়ে। পড়শিদের ডেকে রামাইয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গত ৬ এপ্রিল বিয়ে হয়েছিল রামাইয়ার।
শ্বশুরবাড়িতে শৌচাগার না থাকায় অভিমানে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ। তামিলনাড়ুর কাড্ডালুরের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম রামাইয়া। বছর সাতাশের ওই বধূ একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী। গত ৬ এপ্রিল কার্তিকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পরই সমস্যা তৈরি হয় শৌচাগার নিয়ে। রামাইয়া জানতেন না যে, শ্বশুরবাড়িতে শৌচাগার নেই। জানার পরই তিনি কার্তিককে শৌচাগার বানাতে বলেন। অভিযোগ, তাতে কান দেননি কার্তিক। বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এর পরই রামাইয়া শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে যান।
বিষয়টি পরে থিতিয়ে পড়লেও, রামাইয়া কার্তিককে অন্য কোথাও ঘর খোঁজার জন্য অনুরোধ করেন। এমন একটা বাড়ি যেখানে শৌচাগার আছে। পাশাপাশি, এটাও জানান, সেই বাড়ি যেন চেন্নাই থেকে চার ঘণ্টার দূরত্বের মধ্যে হয়। এই কথা শুনে বেজায় চটে যান কার্তিক। রবিবার রাতে রামাইয়ার সঙ্গে তাঁর বাপের বাড়িতেই কথা কাটাকাটি হয় কার্তিকের।
সোমবার সকালে রামাইয়ার মা যখন তাঁকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে যান, তখন তিনি দেখেন সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তাঁর মেয়ে। পড়শিদের ডেকে রামাইয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।