Kanpur

ভাইয়ের সাহায্য নিয়ে স্বামীকে খুন! গ্রেফতারির প্রতিবাদে জলের ট্যাঙ্কের উপরে উঠলেন মহিলা

কানপুরের এসিপি সন্তোষকুমার সিংহ বলেন, ‘‘অভিযুক্ত মহিলা নিজেই গোবিন্দপুর থানায় স্বামী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার পরেই আমরা মহিলার স্বামীর দেহ উদ্ধার করি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কানপুর শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৩ ১৩:০৮
Share:

ভাইয়ের সাহায্য নিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার কানপুরের মহিলা। ছবি: সংগৃহীত।

স্বামীকে খুনের অভিযোগে ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার প্রতিবাদে জলের ট্যাঙ্কের উপরে উঠে পড়েছিলেন স্ত্রী। গোটা ঘটনা অন্য দিকে ঘুরল তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা পর। যখন পুলিশ স্বামীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করল স্ত্রীকেও। ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরে। জানা গিয়েছে, শ্বশুরবাড়িতে তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতে ভাইয়ের সাহায্য নিয়ে স্বামীকে খুন করেন মহিলা।

Advertisement

গত ৩০ এপ্রিল কানপুরের গোবিন্দপুর থানায় স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার একটি অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী। পুলিশ তদন্তে নামে। কানপুরের পাণ্ডু নদীর ধার থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ ব্যক্তির বাইকটি। আরও তল্লাশিতে ফতেহপুর জেলা থেকে উদ্ধার হয় স্বামীর দেহ। কে খুন করল? পুলিশ খুনের সন্দেহে অভিযোগকারিণীর ভাইকে গ্রেফতার করে। তারই প্রতিবাদ জানাতে তাঁর বোন তথা মৃতের স্ত্রী একটি উঁচু জলের ট্যাঙ্কের উপরে উঠে পড়েন। কোনও ক্রমে তাঁকে নামানো হয়। কিন্তু তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। দাবি করেন, স্বামীর আসল খুনিদের আড়াল করতেই তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও এই দাবিতে পুলিশকে ভোলানো যায়নি। পর দিনই গ্রেফতার হন অভিযোগকারিণী মহিলাও।

কানপুরের এসিপি সন্তোষকুমার সিংহ বলেন, ‘‘অভিযুক্ত মহিলা নিজেই গোবিন্দপুর থানায় স্বামী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পাণ্ডু নদীর ধার থেকে একটি বাইক উদ্ধার হয়। তার পরেই আমরা মহিলার স্বামীর দেহ উদ্ধার করি।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, শ্বশুরবাড়িতে মহিলার উপর নিত্য অত্যাচার চলত। নিয়মিত তাঁকে মারধর করতেন স্বামী। তারই প্রতিশোধ নিতে ভাইকে নিয়ে পরিকল্পনা সাজান মহিলা। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, এক দিন স্বামীকে নিজের বাপের বাড়িতে আসতে বলেন স্ত্রী। স্বামী সেই মতো স্ত্রীর বাড়িতে গেলে তাঁকে মদ্যপান করান স্ত্রীয়ের ভাই। বেসামাল হয়ে পড়লে স্ত্রী খুন করেন স্বামীকে। তাতে স্ত্রীকে সাহায্য করেন তাঁর ভাই। খুনের পর দেহ লোপাট করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement