— প্রতীকী ছবি।
ছোট্ট ভাইঝির কান্নাকাটিতে ঘুম হচ্ছিল না। তাই দু’বছরের ভাইঝিকেই মেরে ফেললেন কাকিমা। হতবাক করে দেওয়া এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের জবলপুর শহরে। মঙ্গলবারই পুলিশ অভিযুক্ত কাকিমাকে গ্রেফতার করেছে।
জবলপুরের রাজীব নগর এলাকা। সেখানেই স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে থাকেন শাকিল নামে এক ব্যক্তি। একই সঙ্গে থাকেন তাঁর দাদা এবং বউদিও। হনুমন্তাল থানার বড়বাবু এম দ্বিবেদী জানিয়েছেন, দুই পরিবারে ভালই মিলমিশ ছিল। গত সোমবার পরিবারের তরফে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানানো হয়, বাড়ির ছোট সদস্য, দু’বছরের শিশু সন্তানকে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ তদন্তে নেমে সিসিটিভি স্ক্যান করে। কিন্তু কিছুই পাওয়া যায় না। এর পর পুলিশ বাড়িতেই শিশুটির খোঁজে তল্লাশি আরম্ভ করে। তল্লাশিতে বাড়ির সোফার তলা থেকে শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার হয়।
পরিবারের সকলকে জেরার পর রহস্যের পর্দাফাঁস হয়। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির কাকিমা তাকে খুবই ভালবাসতেন। সোমবার দুপুরে কাকিমার কাছে গিয়ে খেলা করছিল শিশুটি। কাকিমা তাকে দুপুরের খাবারও খাইয়ে দেন। তার পর তাকে মায়ের কাছে চলে যেতে বলেন। কিন্তু শিশু কাকিমার কাছেই থাকতে চায়। এ নিয়ে শিশুটিকে বকুনি দিলে সে কাঁদতে শুরু করে।
এ দিকে কান্নার শব্দে কাকিমার দুপুরের ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছিল। রাগের মাথায় তাই কাকিমা শিশুটির গলা টিপে ধরে চুপ করতে বলেন। গলা যখন ছাড়েন, তখন শিশুটি ঢলে পড়ে বিছানায়। মৃত্যু হয় তার। কাকিমা তড়িঘড়ি শিশুর দেহ বাড়ির সোফার তলায় ঢুকিয়ে দেন। সুযোগ বুঝে দেহ বাইরে পাচারের ছিল পরিকল্পনা। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় তার আগেই ধরা পড়ে গেলেন কাকিমা। পুলিশ অভিযুক্ত কাকিমাকে গ্রেফতার করেছে।