ফোনে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন, তার জেরে এক তরুণীকে স্ক্রুড্রাইভার দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক বাস কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে। শুধু তাই-ই নয়, অভিযোগ, চিৎকার থামাতে তরুণীর মুখে বালিশ চেপে ধরেন অভিযুক্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীকে স্ক্রুড্রাইভার দিয়ে ৫১ বার খুঁচিয়ে খুন করেন বাস কন্ডাক্টর। গত ২৪ ডিসেম্বর ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের কোরবা জেলার সাউথ ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড-এর একটি কলোনিতে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, বছর তিনেক আগে তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল কন্ডাক্টরের। তরুণী ওই বাসে হামেশাই যাতাযাত করতেন। সেই থেকেই দু’জনের আলাপ। তার পর ধীরে ধীরে ফোন নম্বর বিনিময় হয়। বছরখানেক আগে কর্মসূত্রে আমদাবাদে চলে যেতে হয়েছিল কন্ডাক্টরকে। তার পরেও দু’জনের মধ্যে ফোনে যোগাযোগ ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি তরুণী কন্ডাক্টরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন। সেটা বরদাস্ত করতে পারেননি অভিযুক্ত কন্ডাক্টর। অভিযোগ, তরুণীর মা-বাবাকেও এর জন্য হুমকি দেন তিনি। তার পরেও তরুণী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ না করায় কোরবায় চলে আসেন কন্ডাক্টর। তার পর সোজা তরুণীর বাড়িতে চলে যান। সেই সময় বাড়িতে অন্য কোনও সদস্য ছিলেন না। সেই সুযোগে তরুণীকে স্ক্রুড্রাইভার দিয়ে খুঁচিয়ে খুন করেন কন্ডাক্টর। তরুণী যাতে চিৎকার করতে না পারেন, তাঁর মুখ বালিশ দিয়ে চাপা দিয়ে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। তরুণীকে খুনের পর সেখান থেকে চম্পট দেন অভিযুক্ত কন্ডাক্টর। তরুণীর ভাই বাড়ি ফিরে দিদিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁর খোঁজে একটি বিশেষ দল গঠন করেছে পুলিশ।